কর্নাটক ভোট মিটতেই ফের বাড়ছে পেট্রল, ডিজেলের দাম। তেলের খরচ গুনতে নাজেহাল সকলে। এই অবস্থায় রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে বিশেষজ্ঞ সংস্থার ইঙ্গিত, আগামী কয়েক সপ্তাহে ওই দুই জ্বালানির দাম ধাপে ধাপে বাড়তে পারে চার টাকা পর্যন্ত।
কর্নাটক ভোট পর্যন্ত টানা বেশ কিছু দিন দেশে পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়েনি। অথচ বিশ্ব বাজারে চড়েছে অশোধিত তেলের দর। ব্রোকারেজ সংস্থা কোটাক ইনস্টিটিউশনাল ইকুইটিজের দাবি, দাম আরও ৪ টাকা বাড়ার আশঙ্কা লুকিয়ে সেখানেই। কারণ হিসেবে তাদের যুক্তি, দাম এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকায় সেই সময় তেল সংস্থাগুলির গড়ে নোট লাভ লিটারে ৫০-৭০ পয়সায় নামে। যেখানে আমদানি খরচ অনুযায়ী সাধারণ ভাবে তা ২.৭০ টাকা হওয়ার কথা। ফলে এখন সেই লাভ পোষাতে চাইলে আগামী দিনে লিটারে পেট্রলের দাম ৪-৪.৫৫ টাকা ও ডিজেল ৩.৫-৪ টাকা পর্যন্ত বাড়াতে হতে পারে। অনেকের মতে, এই যে রোজ লাফিয়ে দর বাড়ছে, তা সেই ঘাটতি পোষাতেই।
তার উপর বিশ্ব বাজারে তেল বৃহস্পতিবারই ছুঁয়েছে ব্যারেলে ৮০ ডলার। ২০১৪ সালের পরে সব থেকে বেশি। এক ডলারও ৬৮ টাকার কাছাকাছি। ফলে তেল আমদানির খরচ বাড়ছে। আজ, শুক্রবার কলকাতায় পেট্রল ও ডিজেল লিটারে যথাক্রমে ২৮ ও ৩০ পয়সা বেড়েছে। দাঁড়িয়েছে ৭৮.২৯ ও ৬৯.৬৩ টাকায়। ডিজেলের দাম রোজই নতুন নজির গড়ছে। আর পেট্রল ভেঙেছে ২০১৪ সালের ১৫ অগস্ট ও ২০১৩ সালের ১ নভেম্বরের রেকর্ড।
উল্লেখ্য, কর্নাটক ভোটের সময় তেলের দাম না বাড়ানোয় সংস্থাগুলির গড়ে নিট মুনাফা লিটারে ৩১ পয়সা নামার কথা সম্প্রতি জানিয়েছিল আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজ-ও।
গত কয়েক মাস ধরেই তেলের দাম বাড়া নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধেছে বিরোধীরা। বারবার উঠছে উৎপাদন শুল্ক কমানোর দাবিও। এই অবস্থায় গুজরাত ভোটের মতো কর্নাটক ভোটের আগেও পেট্রল, ডিজেলের দাম বদলায়নি তেল সংস্থাগুলি। তাদের অবশ্য দাবি ছিল, এর সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক নেই। যদিও ভোট মেটার এক দিন পর থেকেই চড়া হারে ফের বাড়তে শুরু করেছে তেল। এ বার তা গড়ে আরও চার টাকা বাড়ার আশঙ্কায় ভয়ে কাঁটা সকলেই।