ধর্মঘটের জেরে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ছবি: পিটিআই।
দেশ জুড়ে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হল। আগামী ১২ জুলাই ওই ধর্মঘট ডেকেছে পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইপিডিএ)। তার আগে আগামী ৫ জুলাই প্রতীকী প্রতিবাদ দিবসও পালন করা হবে।
ওই সংগঠনের দাবি, পেট্রোল পাম্পগুলিকে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ স্বয়ংক্রিয় করে তোলার প্রতিশ্রুতি এখনও পালন করেনি তেল বিক্রয়কারী সংস্থাগুলি। পাশাপাশি প্রতি দিন তেলের দাম পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়েও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই দাবি নিয়ে সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে কোনও সুরাহা না মেলায় সারা দেশে পেট্রোল পাম্পগুলি ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এআইপিডিএ সূত্রে খবর, গত ২৯ জুন তেল বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল তারা। প্রায় তিন ঘণ্টার ওই বৈঠকে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এআইপিডিএ-র তরফে ৩০ জুন বেলা ২টো পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। কিন্তু, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনও আশ্বাস না মেলায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ওই সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: মিশ্র প্রভাব জুনের গাড়ি বিক্রিতে
এই ধর্মঘটের জেরে আগামী ১২ জুলাই পেট্রোল পাম্পগুলি কোনও সংস্থার কাছ থেকে তেল কিনবে না। ক্রেতাদের কাছে কোনও তেল বিক্রিও করবে না। পাশাপাশি, ৫ জুলাই প্রতীকী প্রতিবাদের দিন সংস্থাগুলির কাছ থেকে কোনও তেল কিনবেও না পাম্পগুলি। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার সেন এ কথা জানিয়ে আরও বলেন, “প্রতি দিন তেলের দাম বদলের প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পরেও ডিলারদের কমিশনের বিষয়টি ঠিক হয়নি। এমনকী, তেলের দাম কোন পদ্ধতিতে ঠিক করা হচ্ছে, সেই ফর্মুলাও জানানো হচ্ছে না ডিলারদের। পাশাপাশি, জিএসটি নিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে অন্ধকারে। ছোট ডিলাররা এতে সমস্যায় পড়ছেন।”
পশ্চিমবঙ্গ ও অন্য রাজ্যে মাত্র এক শতাংশ পেট্রোল পাম্পে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তুষারবাবু। তাঁর দাবি, পাম্পগুলিতে ১০০ শতাংশ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করা উচিত তেল কোম্পানিগুলির। অন্য দিকে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে তাদের আওতায় যে ১ হাজার ২০০ পাম্প আছে, তার মধ্যে ৪৬০-টিরও বেশি পাম্পকে স্বয়ংক্রিয় করার কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী ধাপে আরও ২০০ পাম্পকে স্বয়ংক্রিয় করার কাজ শুরু হতে চলেছে।