বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি ও টাকার নিরিখে ডলারের চ়ড়া দরের জেরে চলতি খাতের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগের কথা আগেই মেনেছেন অর্থমন্ত্রী। এ বার আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় চার বছরে সব থেকে বেশি দর (ব্যারেলে প্রায় ৮৪ ডলার) ছোঁয়া অশোধিত তেলকে সরকারের সামনে অন্যতম বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ বলে মন্তব্য করলেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও।
দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ার দায় শুরু থেকেই বিশ্ব বাজারের উপর চাপিয়েছে কেন্দ্র। তবে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি ছিল, তা সত্ত্বেও রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে তেল ও টাকা নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ যে বাড়ছে, তা স্পষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বক্তব্যে।
সোমবার প্রধান জানান, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই উৎপাদন শুল্ক কমানো হলেও দেশে পেট্রল-ডিজেল বাড়ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র যে কার্যত হিমসিম, এতে তা স্পষ্ট।
প্রধানের ইঙ্গিত, সুরাহার জন্য তেলের বাড়তি জোগানই ভরসা তাঁদের। তাঁর দাবি, সৌদি আরবের তেলমন্ত্রীকে তিনি মনে করিয়েছেন জুনে তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেকের উৎপাদন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি। মন্ত্রীর আক্ষেপ, ‘‘ওঁরা তা মানছেন না।’’ চাপ বাড়ছে নভেম্বরে ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে তেলের জোগান আরও ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কায়।
তবে শুল্ক হ্রাসের কিছুটা দায় সংস্থাগুলিকে বইবার নির্দেশে তেলের দামে ফের নিয়ন্ত্রণ কায়েমের প্রশ্ন উঠছে। আশঙ্কা উড়িয়ে প্রধানেরও দাবি, মানুষকে স্বস্তি দেওয়াই লক্ষ্য। নিয়ন্ত্রণের পথে ফিরছেন না তাঁরা।