ফাইল চিত্র।
এমনিতেই কাঁধে চেপেছিল অনুৎপাদক সম্পদ। তার উপর নীরব মোদীর ‘সৌজন্যে’ প্রতারণার মুখে পড়েছে তারা। ফলে বড় লোকসানে ডোবার আশঙ্কা ছিল। যা সত্যি করে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জানাল, গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১৩,৪১৬.৯১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে তাদের। মূল কারণ, অনুৎপাদক সম্পদ খাতে সংস্থান বাড়ানো। দেশের কোনও ব্যাঙ্কের এক ত্রৈমাসিকে কখনও এত ক্ষতি হয়নি।
পিএনবি-র দাবি, নীরব কাণ্ডে গুনতে হওয়া লোকসান খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৭,১৭৮ কোটি। মোট ১৪,৩৫৬ কোটি দায়ের প্রায় ৫০%। এলওইউ-র দায় হিসেবেও অন্যান্য ব্যাঙ্ককে মেটাতে হয়েছে ৬,৫৮৬.১১ কোটি। নিয়ম ভেঙে পিএনবি থেকে বিরাট অর্থের গ্যারান্টি বা ওই এলওইউ হাতিয়েছিল নীরব ও তাঁর সংস্থা। তা দেখিয়ে ঋণ নেয় একাধিক ব্যাঙ্কের বিদেশি শাখা থেকে। এখন তা শোধের দায় পিএনবি-রই।
আলোচ্য ত্রৈমাসিকে পিএনবি-র আয়ও কমেছে। মোট অনুৎপাদক সম্পদও বেড়ে হয়েছে ঋণের ১৮.৩৮%। অনাদায়ী ঋণ বাবদ সংস্থান বেড়েছে চার গুণ।
জেরবার
• জানুয়ারি-মার্চে লোকসান ১৩,৪১৬ কোটি টাকা
• দেশে কোনও ব্যাঙ্ক এক ত্রৈমাসিকে এত ক্ষতি করেনি
• মোট অনুৎপাদক সম্পদ বেড়ে ঋণের ১৮.৩৮%। কমেছে আয়