মেহুল চোক্সী
ভাগ্নে নীরব মোদীর পরে মামা মেহুল চোক্সী। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) প্রতারণা কাণ্ডে এ বার তাঁর বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। ওই একই কেলেঙ্কারিতে নীরবের নামে চার্জশিট দাখিল হয়েছে সোমবারই।
এ দিনের চার্জশিটে নাম রয়েছে মেহুলের গীতাঞ্জলি জেমস, গিলি ইন্ডিয়া, নক্ষত্র ব্র্যান্ডস নামের তিনটি সংস্থা এবং আরও ১৪ জনের।
নীরব মোদী, তাঁর ভাই নীশল মোদী-সহ ২২ জন এবং নীরবের তিন সংস্থার বিরুদ্ধে মোট ৬,৪৯৮ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছিল। আজ মুম্বইয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতে মেহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিটে প্রায় ৭,০৮১ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে।
চার্জশিটে নাম রয়েছে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও উষা অনন্তসুব্রহ্মণ্যনের। যিনি গত মে পর্যন্ত পিএনবি-র শীর্ষ পদে ছিলেন। উষা ছাড়াও অভিযুক্ত ৯ জনই পিএনবি-র প্রাক্তন বা বর্তমান আধিকারিক। যার মধ্যে আছেন মুম্বইয়ে ব্র্যাডি হাউস শাখার তৎকালীন ডেপুটি ম্যানেজার গোকুলনাথ শেট্টি, দুই এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর কে ভি ব্রহ্মাজি রাও এবং সঞ্জীব শরণও। বুধবার এর পরেই ব্রহ্মাজি রাও আর্থিক পরিষেবা সচিব রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর।
প্রায় ১২ হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিটে সিবিআইয়ের অভিযোগ, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে অভিযুক্ত পিএনবি আধিকারিকরা মেহুল চোক্সীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে লেটার অব আন্ডারটেকিং (এলওইউ) অনুমোদন করেন। যার সাহায্যে মেহুল ও তাঁর সংস্থা বিদেশে ব্যাঙ্কের শাখা থেকে কড়া শর্ত ছাড়াই ঋণ পেয়েছিল। পিএনবি-র কোর ব্যাঙ্কিং সলিউশনেও তা নথিভুক্ত ছিল না।
সিবিআইয়ের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির উচ্চপদস্থ কর্তারা জানা সত্ত্বেও প্রতারণা চলতে থাকে। এমনকী তাঁরা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা মেনে জালিয়াতি আটকানোর চেষ্টাও করেননি। ব্র্যাডি হাউস শাখার ডেপুটি ম্যানেজার বেআইনি ভাবে এলওইউয়ে অনুমোদন দেওয়ার জন্য চোক্সীর সংস্থার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলেও তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি।
মঙ্গলবার বিপুল ক্ষতি ঘোষণার জেরে এ দিন ব্যাঙ্কের শেয়ার দর প্রায় ১২% নেমেছে। দ্বিতীয় চার্জশিটেও ফের ১০ জনের নাম জড়ানোয় দর আরও পড়ার আশঙ্কা।