কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগ। —ফাইল চিত্র।
ডাক বিভাগে কর্মরত সব স্তরের প্রতিটি কর্মীকে নির্দিষ্ট অঙ্কের ব্যবসা দিতে হবে। সম্প্রতি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে কাজ করানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগ। আর তাতেই দানা বেঁধেছে অসন্তোষ। প্রশ্ন উঠেছে সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে। বিভাগের কর্তাদের দাবি, উন্নত কর্মসংস্কৃতি তৈরি এবং প্রত্যেকের কাজের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসার হাল ফেরানোও এর উদ্দেশ্য।
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার উপস্থিতিতে ডাক বিভাগের শীর্ষকর্তাদের এক বৈঠক হয় নয়াদিল্লিতে। সেখানেই ব্যবসার হাল ফেরানো নিয়ে ১৫ দফা সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার অন্যতম, প্রত্যেক কর্মীকে গড়ে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ব্যবসা দিতে হবে প্রতি মাসে কিংবা বছরে। কোন স্তরের কর্মীর উপর কত টাকা ব্যবসা দেওয়ার দায় চাপানো হবে, তা স্থির করবে সংশ্লিষ্ট সার্কল। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এর অঙ্ক ধার্যের দায়িত্ব বর্তাবে ডাকঘর কিংবা নির্দিষ্ট দফতরের উপরে। তবে ডাক কর্মীদের একাংশের মতে, সিদ্ধান্তটি যুক্তিহীন। এ ভাবে অন্তত এই ক্ষেত্রের ব্যবসা হয় না। সব কর্মীর কাজ ওই মাপকাঠিতে মাপা সম্ভব নয়। যদিও ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তাদের অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে— নিত্যনতুন পরিষেবা এনে গ্রাহক টানা, নতুন নতুন ব্যবসার পথ খোলা, লেনদেন না হওয়া শাখা বা দফতরকে চিহ্নিত করে পদক্ষেপ, ভাল কাজের জন্য পুরষ্কার ইত্যাদি।
এ ছাড়া, ডাক বিভাগের প্রতিটি পরিষেবার ক্ষেত্রে চলতি অর্থবর্ষে ব্যবসা বৃদ্ধির লক্ষ্যও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যেমন, পণ্য পাঠানোয় (পার্সেল) গত বারের থেকে মোট ব্যবসা ২১% বাড়িয়ে ১০১ কোটি টাকায় নিতে হবে। আন্তর্জাতিক ডাক ব্যবসার ক্ষেত্রে লক্ষ্য ১৩৫% বাড়িয়ে ২৭০ কোটি করা আর অভ্যন্তরীণ ডাক ব্যবসায় ১৭% বাড়িয়ে ২৬৫ কোটি টাকা। পোস্টাল বিমা ক্ষেত্রে লক্ষ্য প্রায় ৩২%। এই ধরনের মূল ৬টি ক্ষেত্র থেকে মোট ব্যবসার অঙ্ক ৫৪০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৭৬৩ কোটি টাকায় নেওয়ার লক্ষ্য বাঁধা হয়েছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে