জিএসটি চালু হওয়ায় কয়লার দাম কমেছে। আর সে জন্য এ রাজ্যে বিদ্যুতের দাম কমবে কি না, তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক সভায় শনিবার বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, ‘‘কত দামে কয়লা কেনা হচ্ছে এবং এর জন্য বিদ্যুতের দাম কমানো যায় কি না, তা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।’’ তিনি উল্লেখ করেন যে, এমনিতেই বিদ্যুতের দামে ভর্তুকি দেওয়া হয়। তাই কয়লার দর কমলে বিদ্যুতের দাম কমানো গেলে মানুষেরও সুবিধা হবে।
জিএসটির ফলে কয়লায় কর ১২% থেকে কমে ৫% হয়েছে। তবে শুধুমাত্র এই হ্রাসের উপর বিদ্যুতের দাম যে নির্ভর করে না, তার ইঙ্গিত দিয়ে শোভনদেববাবু বলেন, ‘‘আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় জড়িয়ে থাকে বিদ্যুতের দামের ওঠা-নামায়।’’ তার উপর এ রাজ্যে কয়লার জোগান ঠিক মতো আসে না বলেও অভিযোগ করেছেন শোভনদেববাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বারবারই কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।’’
ওই সভাতেই কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় আবার শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য বণিকসভার প্রতিনিধিদের অর্থসাহায্য করার আবেদন জানালেন। রাজ্যে সবুজায়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার মাধ্যমে উন্নয়নের এই কাজে বণিকসভার সকলকে সামিল হতে অনুরোধ করছি।’’