ভাড়া-যুদ্ধ নিয়ে বিমান শিল্পকে হুঁশিয়ারি

শুধু বাজার দখলের লক্ষ্যেই সংস্থাগুলি নিজেদের লোকসান করে টিকিট বিক্রি করছে বলে তোপ দাগলেন হরদীপ সিংহ পুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

যে ভাবে ভারতের বিমান সংস্থাগুলি টিকিটের দাম কমানোর যুদ্ধে নেমেছে, তাতে ভবিষ্যতে আরও কিছু সংস্থায় তালা ঝুলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তাঁর দাবি, ২০ বছর আগেও বিমানের ভাড়া যা ছিল, এখনও প্রায় তা-ই রয়েছে। শুধু বাজার দখলের লক্ষ্যেই সংস্থাগুলি নিজেদের লোকসান করে টিকিট বিক্রি করছে বলে তোপ দাগলেন তিনি। অবশ্য একই সঙ্গে বলেছেন, সরকার যেমন বিমান টিকিটের দরের ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করার পক্ষপাতি নয়, তেমনই তার ন্যূনতম দামও বেঁধে দিতে পারে না। তবে মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে বিমান ভাড়া বৃদ্ধির সওয়াল হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। বিশেষত, তিনি যেহেতু টিকিটের দাম এ ভাবে কমালে বহু সংস্থাকে ব্যবসা হারাতে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Advertisement

যদিও পুরীর মতে, ভাড়া হওয়া উচিত বাস্তবসম্মত। যা সাধারণ মানুষ দিতে পারবেন। আবার সংস্থাও তাতে লাভের মুখ দেখবে। এ নিয়ে দফায় দফায় সংস্থাগুলির সঙ্গে মন্ত্রকের আলোচনা চলছে বলেও দাবি তাঁর।

বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের দুই প্রধান বিমান সংস্থা ইন্ডিগো ও স্পাইসজেট যথাক্রমে ১০৬২ কোটি এবং ৪৬৩ কোটি টাকার লোকসান করেছে। লোকসান হয়েছে অন্যান্য উড়ান সংস্থারও। এই প্রসঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে পুরী বলেন, ‘‘এই অবস্থাতেও যদি সংস্থাগুলি লোকসান করে টিকিট বিক্রি করতে থাকে, তা হলে শুধু এয়ার ইন্ডিয়ার অবস্থা খারাপ হবে তা-ই নয়। জেট এয়ারওয়েজ় ও কিংফিশার এয়ারলাইন্সের মতো অন্য আরও কিছু সংস্থাও ডুবতে পারে।’’ তবে তিনি এ কথাও বলেন, শুধু টিকিটের দাম নয়। আরও অনেক কিছুই সংস্থার লাভ-লোকসানকে প্রভাবিত করে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন