স্পেকট্রামের দাম চড়া, বলছে ফিচও

স্পেকট্রামের চড়া দাম, বিপুল লাইসেন্স ফি মেটাতে গিয়ে সব মিলিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকার দেনার বোঝা টেলি শিল্পের উপরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯ ০১:১০
Share:

ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে মোদী সরকার। এর জন্য ৫-জি পরিষেবাকে পাখির চোখ করতে টেলিকম শিল্পের কাছে আর্জি জানিয়েছেন টেলিকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। পরীক্ষামূলক ভাবে ওই পরিষেবা চালুর জন্য নির্দেশিকাও তৈরি করেছে টেলিকম দফতর (ডট)। কিন্তু নিলামের জন্য ওই স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর অত্যন্ত চড়া বলে দাবি শিল্পের। এই অভিযোগের সঙ্গে সহমত উপদেষ্টা সংস্থা ফিচ। তাদের বক্তব্য, এর ফলে নিলামে অংশ নিতে সংস্থাগুলি যথেষ্ট আগ্রহী হবে না।

Advertisement

স্পেকট্রামের চড়া দাম, বিপুল লাইসেন্স ফি মেটাতে গিয়ে সব মিলিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকার দেনার বোঝা টেলি শিল্পের উপরে। উপরন্তু মাসুলের গলাকাটা প্রতিযোগিতায় আয় কমেছে অধিকাংশ সংস্থার। এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া, এমটিএনএল, বিএসএনএলের মতো সংস্থাগুলির লাইসেন্স ফি বাবদ প্রায় ৯২,০০০ কোটি টাকা তাদের কাছে বকেয়া রয়েছে বলে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্র।

ফিচের বক্তব্য, নিয়ন্ত্রক ট্রাই ৫-জি স্পেকট্রামের প্রতি মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের দর ৭ কোটি ডলার ধরেছে। সেই হিসেবে ৫-জি লাইসেন্সের জন্য ৭০০ কোটি ডলার উপুর করতে হবে। সে জন্যই নিলামে ‘সীমিত’ অংশগ্রহণের সম্ভাবনা দেখছে ফিচ। সে ক্ষেত্রে নিলাম হতে ২০২০ সালের মাঝামাঝি গড়িয়ে যেতে পারে।

Advertisement

অন্য দিকে, ৭০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম ভারতীয় রেলকে দেওয়ার ভাবনার বিরোধিতা করেছে জিয়ো, এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়া। তাদের বক্তব্য, পরিষেবা দেওয়ার জন্য টেলিকম সংস্থাগুলিকে লাইসেন্স নিতে হয়। ভারতীয় রেল তা না নিলে ওয়াই-ফাই, ফোনে কথা বলার মতো বাণিজ্যিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাদের ওই স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা উচিত নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন