গন্নাভূমে মন পেতে  বাড়ল আখের দর

আখচাষিদের ক্ষোভ এতে কিছুটা কমলেও চিন্তায় পড়েছে চিনিকলগুলি। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, একে চিনিকলগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য বেহাল। এখন চিনির ন্যূনতম দাম না বাড়লে, চাষিদের বাড়তি দাম দেওয়া কঠিন হবে বলে ইঙ্গিত তাদের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪৪
Share:

আখচাষিদের ক্ষোভের খেসারত দিতে হয়েছে উপনির্বাচনে। আগামী লোকসভা ভোটে যাতে ‘গন্নাভূম’ মুখ না ফেরায়, সেই লক্ষ্যে চিনিকলগুলিতে আখ কেনার ন্যূনতম দর বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার কুইন্টালে ২০ টাকা বাড়িয়ে ২০১৮-১৯ মরসুমের জন্য তা ২৭৫ টাকা করার কথা ঘোষণা করল মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটি।

Advertisement

আখচাষিদের ক্ষোভ এতে কিছুটা কমলেও চিন্তায় পড়েছে চিনিকলগুলি। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, একে চিনিকলগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য বেহাল। এখন চিনির ন্যূনতম দাম না বাড়লে, চাষিদের বাড়তি দাম দেওয়া কঠিন হবে বলে ইঙ্গিত তাদের।

কিছু দিন আগেই খরিফ শস্যের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে মোদী সরকার। এ দিন আখের জন্য তা (ফেয়ার অ্যান্ড রেমুনারেটিভ প্রাইস বা এফআরপি) বাড়িয়ে ভোটের মরসুমে বিজেপি জোরালো প্রচারে নামতে চলেছে। সরকারি সূত্রের দাবি, এফআরপি বাড়ানোর প্রভাব উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্যে পড়বে। কারণ, ওই সব রাজ্যে তাদের নিজেদের নির্ধারিত ‘স্টেট অ্যাডভাইসরি প্রাইস’-এর ভিত্তিতে আখ কেনা হয়। আর সেই মূল্য সাধারণত কেন্দ্রের ঠিক করে দেওয়া দামের থেকে বেশি হয়। অনেকেই মনে করছেন, এ বার কেন্দ্র এফআরপি বাড়ানোয় আখচাষিরা কিছুটা লাভবান হবেন। যার মুনাফা ভোট-বাক্সে তুলতে চাইবে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের অনেকের দাবি, উত্তরপ্রদেশে ক্রমশ জমি হারাতে থাকা বিজেপিকে অক্সিজেন দিতেই এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement