প্রতারণার জেরে বড় মাপের আর্থিক ক্ষতি বইতে হলেও নিজেদের দায়িত্ব পালন থেকে একচুলও পিছু হটবেন না। ইতিমধ্যেই এই দাবি করেছেন পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) এমডি এবং সিইও সুনীল মেটা। একই সঙ্গে আশ্বাস, এই ক্ষতির মোকবিলা করার মতো ক্ষমতা তাঁদের আছে।
এই প্রতারণার ঘটনায় সাধারণ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হননি ঠিকই। কিন্তু এই কাণ্ড সামনে আসার পরে দেশের ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে আমজনতা ক্ষোভ ও হতাশা উগড়ে দিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, সরাসরি গ্রাহকদের পকেট থেকে ওই ক্ষতি পূরণ না করা হলেও, যে টাকা লোকসান হয়েছে, তা তো আসলে আমনাতকারীদেরই।
ব্যাঙ্কগুলি এক দিকে তাদের নানা পরিষেবার খরচ দিন দিন বাড়িয়ে চলেছে। অন্য দিকে নজরদারির ত্রুটির জন্য কোটি কোটি টাকা প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়ে পালালেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কিছু করতে পারছেন না। এটাই সাধারণ ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়াচ্ছে। বিশেষত প্রতারণার ঘটনা জানার চার দিন পরে পিএনবি কর্তৃপক্ষ কেন সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানালেন, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
এ দিকে এই ঘটনার পরে ব্যাঙ্ক শিল্পে বদল আনতে কেন্দ্রের তৈরি আমানত সুরক্ষা (এফআরডিআই) বিলের বিরুদ্ধে নতুন করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন অনেকে। শুক্রবার অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছে, বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরে এই ধরনের ঘটনায় কোনও ব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় কি গ্রাহকরাই মেটাবেন? বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পরিষেবার মান নিয়ে যেখানে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে।
এটিএম থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বিভিন্ন খরচের বহরও দিন দিন ব্যাঙ্কগুলি বাড়াতে থাকায় অসন্তোষ যে ক্রমশ বাড়ছে, তা পিএনবি বিতর্কের পরে স্পষ্ট।