চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে আদায় হয়েছে ৩৬,৫৫১ কোটি টাকার অনাদায়ি ঋণ।
নিজেদের আনা বিভিন্ন আর্থিক সংস্কারের প্রচার করতে গিয়ে বারবারই দেউলিয়া বিধির কথা বলে মোদী সরকার। দাবি করে, এর হাত ধরেই অনুৎপাদক সম্পদের জাল কেটে বেরিয়ে আসবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি।
এ বার অর্থ মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তারা বললেন, এই আইনে সাফল্যের যা হার, তাতে চলতি অর্থবর্ষে অনাদায়ী ঋণ উদ্ধারের অঙ্ক লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে যেতে পারে। যার অর্থ, তা হবে ১.৮০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।
দেউলিয়া আইনে ঋণ খেলাপি সংস্থাকে নিলাম মারফত বিক্রি বা চাঙ্গা করা নিয়ে অবশ্য আপত্তি আছে কিছু মহলে। ছোট-মাঝারি শিল্পের একাংশ বলছে, এর জেরে অসুবিধায় পড়ছে তারা। প্রক্রিয়াটি কিছুটা সহজ ও কম খরচসাপেক্ষ হলে ভাল হত। অনেকের অভিযোগ, এত কাঠখড় পুড়িয়ে হাত বদল হচ্ছে জলের দরে।
আদায় কোন পথে
• চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে আদায় হয়েছে ৩৬,৫৫১ কোটি টাকার অনাদায়ি ঋণ। যেখানে পুরো ২০১৭-১৮ সালে আদায়ের অঙ্ক ছিল ৭৪,৫৬২ কোটি।
• রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রকাশিত প্রথম তালিকার ১২টি সংস্থার থেকেই ১ লক্ষ কোটি পাওয়ার আশা।
• এসার স্টিলের ৪৯ হাজার কোটি ধারের ৮৬% ফেরতের আশা।
• ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল কিনতে ১৯,৭০০ কোটি টাকার দর (সংশোধিত) দিয়েছে জেএসডব্লিউ স্টিল।
• এই প্রক্রিয়ার আওতায় বিনানি সিমেন্ট ও জেপি ইনফ্রাটেকও।
যদিও সরকারের যুক্তি, ব্যাঙ্কের যে টাকা অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়েছিল, তার কিছুটা তো আদায় হচ্ছে। নইলে তো পুরোটাই জলে যেত!