বিদেশি ক্যান্ডিকে টেক্কা দিচ্ছে দেশি পাল্স।
বাজারে আসার পর থেকেই সুপার ডুপার হিট। কালো বর্ডারের ছোট্ট সবুজ প্যাকেটটা ঘোরে হাতে হাতে। এতটাই জনপ্রিয় এক টাকার এই ক্যান্ডি যে, একটা খেয়ে নিজেকে আটকে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জটাই এখন টের পাচ্ছে ভারতের তাবড় ক্যান্ডি সংস্থাগুলি। বাজারে পা দেওয়ার বছর দু’য়েকের মধ্যেই দেশি-বিদেশি প্রায় সব ক্যান্ডি সংস্থাকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছে পাল্স।
২০১৫-এর মাঝামাঝি বাজারে আসে পাল্স। তার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০০ কোটির টাকারও বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে। পাল্স প্রস্তুতকারী সংস্থা ধর্মপাল সত্যপাল (ডিএস) গ্রুপের দাবি, এই বছরেই তাদের বিক্রি ছাড়াবে ৪০০ কোটি। রজনিগন্ধা এবং পাস পাসের মতো জনপ্রিয় পান মশলাও তৈরি করে এই সংস্থা। শীঘ্রই পাল্সের আরও একটি ফ্লেভার বাজারে আনা হবে বলেও জানাচ্ছে তারা।
ভারতে ক্যান্ডির বাজার প্রায় ৬ হাজার ছ’শো কোটি টাকার। প্রতি বছর ১২ থেকে ১৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায় এই বাজার। ক্যান্ডির বাজারের সিংহভাগ পারফেত্তির দখলে। তাদের অ্যালপেনলিবে, ক্লোরো মিন্ট, মেন্টোস, হ্যাপিডেন্ট অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাত্সরিক প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে এক নম্বরে রয়েছে ইতালির এই সংস্থা। এর পর আছে পার্লে, আইটিসি বা রিগলিরা। বাজারে আসার আট মাসের মধ্যেই ১০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছিল পাল্স। এক বছরের মধ্যেই সম গোত্রীয় পার্লের ম্যাঙ্গো বাইট বা পারফেত্তির অ্যালপেনলিবেকে পিছনে ফেলে দেয়। পাল্স বাজারে আসায় যে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে তা মেনে নিচ্ছে সব সংস্থাই। তাই দেশীয় এই ক্যান্ডিকে টেক্কা দিতে নতুন ফ্লেভার আনার কথা চিন্তা করতে হচ্ছে বাকি সংস্থাগুলিকেও।
আরও পড়ুন: চাপ বাড়ছে জিও-র, সস্তার প্ল্যান আনল এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া