অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নাম না-করে ও পারের জামাতের সঙ্গে এ পারের বিজেপিকে একই বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ফের এক বার দলের অবস্থান স্পষ্ট করে অভিষেক জানিয়ে দিলেন, অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যা অবস্থান নেবে তা নিয়ে তৃণমূল বিরোধিতা করবে না। তবে, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপি যে ভাবে মেরুকরণের কৌশল নিচ্ছে, তা নিয়ে সরব হয়েছেন অভিষেক।
শনিবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি কে করছে? ও পারে একটা শ্রেণি করছে, এ পারে বিজেপি করছে।” বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর যা হচ্ছে, তাতে কাঠগড়ায় জামাত। অভিষেক জামাতের নাম করেননি ঠিকই, তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে তিনি কাদের তুলনা করছেন। বাংলাদেশে ময়মনসিংহের যুবক দীপু দাসের হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কেন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেননি, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
দীপু হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “তাঁর বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, তিনি একটি নির্দিষ্ট ধর্ম সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। তার কোনও ভিডিয়ো বা অডিয়ো ক্লিপ, কিংবা চ্যাটের স্ক্রিনশট পাওয়া যায়নি। পুরোটাই রটনা। রটাল কে সেটা আগে খুঁজে বার করা দরকার।” এই প্রসঙ্গে অভিষেক ফের এক বার বলেন, “মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি তৃণমূল, কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি করছে না। করছে একমাত্র বিজেপি।” অভিষেকের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করতে বিজেপি বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে জিইয়ে রাখতে চাইছে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা করেন অভিষেক। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শুভেন্দু। কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসে রাজনৈতিক অভিযান থেকে শুরু করে সাধুসন্তদের নিয়ে মিছিল, সবই হয়েছে শুভেন্দুর নেতৃত্বে। শনিবার অভিষেক বলেন, “এই বিরোধী দলনেতাই সম্প্রতি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের থেকে বাংলাদেশে ইউনূসের সরকার ভাল। যারা ওখানে হিন্দুদের মারছে, তাদের শংসাপত্র দিচ্ছেন নিজেকে হিন্দু রক্ষাকর্তা হিসেবে দাবি করা বিজেপির বিরোধী দলনেতা। সম্প্রতি বাংলাদশের একদল যুবক মিছিল করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাঁরা শিলিগুড়ি করিডর দখল করে নেবেন।” অভিষেক বলেন, “এত বড় সাহস হয় কী করে? দু’দিন বাদেই কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসছেন, তাঁর তো জবাব দেওয়া উচিত ভারত সরকার কী করছে!