ডিজিটাল লেনদেনে সুরক্ষার পক্ষে সওয়াল

নগদহীন লেনদেন বাড়াতে এ বার ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। বাজেটেও বিনা নগদের আদান-প্রদানে নানা সুবিধার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু সেই ব্যবস্থায় নিরাপত্তার বিষয়টি কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৪
Share:

নগদহীন লেনদেন বাড়াতে এ বার ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। বাজেটেও বিনা নগদের আদান-প্রদানে নানা সুবিধার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু সেই ব্যবস্থায় নিরাপত্তার বিষয়টি কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে? আমজনতাই বা কতটা তৈরি এই ব্যবস্থার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে? বিভিন্ন মহল থেকেই উঠছে এই সব প্রশ্ন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বণিকসভা ফিকি-র বাজেট বিশ্লেষণের সভাতেও উঠেছে এ প্রসঙ্গ। নগদহীন লেনদেন নিয়ে আপত্তি না-থাকলেও অনেকেরই দাবি, সেই ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে কার্যকরের জন্য সার্বিক পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি। যেমন, টিসিজি ডিজিটাল সলিউশন্স-এর সিওও জয়দীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের মানসিকতায় বদল আনার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তার উপর যেহেতু স্মার্টফোনের পাশাপাশি সাধারণ ফোন থেকেও মিলবে নগদহীন লেনদেনের সুযোগ, তাই সার্বিক ভাবেই সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে সদ্য চালু ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশনের (এনপিসিআই) অ্যাপ ‘ভীম’ (ভারত ইন্টারফেস ফর মানি)-এর প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। কিন্তু পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করা কি আদৌ সম্ভব?

জয়দীপবাবুর দাবি, অন্তত ৯৯.৯% নিরাপত্তা চাই। এনপিসিআই-এর পূর্বাঞ্চলের প্রধান স্মরজিৎ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ভীম অ্যাপ-এর সুরক্ষাকবচ মজবুত। তিনি বলেন, ‘‘এটিতে লগ-ইন করার সময়ে পাসকোড দিতে হয়। টাকা লেনদেনের সময়ে লাগে আরও একটি ‘পিআইএন’। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিআইএন-এর মতো এই দুই তথ্যও গ্রাহক ছাড়া আর কারও জানার কথা নয়।’’

Advertisement

সাধারণ ফোনেও *99# লিখে নগদহীন লেনদেনের সুযোগ রয়েছে। স্মরজিৎবাবুর দাবি, লেনদেনের সময়ে জরুরি তথ্য গোপন রাখতে তা সাঙ্কেতিক ভাষায় (এনক্রিপটেড) লিখে পাঠানো হয়। এ ছাড়া লেনদেনের তথ্য কোথাও জমাও থাকে না। দু’টি ব্যাঙ্কের মধ্যে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান হয়। এবং এ ক্ষেত্রেও লেনদেনের জন্য গ্রাহককে তাঁর ‘পিআইএন’ দিতে হয়।

উপদেষ্টা সংস্থা আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং-এ পার্টনার হরিশ অগ্রবাল বলেন, ‘‘কেন্দ্র যেমন সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়, তেমন গ্রাহককেও সচেতন থাকতে হবে।’’ উদাহরণ হিসেবে তাঁর দাবি, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে ব্যক্তিগত কথা বলেন। বেড়াতে গেলে তা জানান। তাঁর বাড়িতে না-থাকার সুযোগ কিন্তু নিতে পারে দুষ্কৃতী। তেমনই ব্যাঙ্কিং বা আর্থিক বিষয়ে তথ্য গোপন রাখার দায় গ্রাহকেরও।’’ হরিশের মতে, আর্থিক প্রযুক্তি সংস্থা, অ্যাপ প্রস্তুতকারী ও মোবাইল সংস্থাগুলিও এ নিয়ে ভাবছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement