নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে ব্যাঙ্কের হাতে আসা বাড়তি তহবিলের অনেকটা নিজের ঘরে তুলতে ব্যবস্থা নিল ভারতীয় বিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
এ ক্ষেত্রে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে জমা পড়া বাড়তি আমানতের পুরোটা বা ১০০ শতাংশই জমা দিতে হবে আরবিআইয়ের কাছে। সাধারণ ভাবে এখন নগদ জমার অনুপাত বা সিআরআর (আমানতের যে-অংশ বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে বাধ্যতামূলক ভাবে গচ্ছিত রাখতে হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে) ৪ শতাংশ। কিন্তু আরবিআইয়ের এই নির্দেশে জানানো হয়েছে, ওই সময়সীমার মধ্যে জমা পড়া বাড়তি আমানতের জন্য তা হবে ১০০%। ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া পনেরো দিনের মধ্যে তা জমা দিতে হবে আরবিআইয়ের কাছে। শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এই ব্যবস্থার ফল কী দাঁড়াল, তা খতিয়ে দেখা হবে ৯ ডিসেম্বর।
তবে এটি অস্থায়ী বন্দোবস্ত বলেও জানিয়েছে আরবিআই। এই ব্যবস্থায় আরবিআইয়ের হাতে বাড়তি ৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা আসতে পারে বলে রয়টার্সের পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে বিপুল পরিমাণে জমা পড়ার জেরে অর্থনীতিতে অত্যধিক নগদের জোগানে রাশ টানতেই এই উদ্যোগ বলে শীর্ষ ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর।
ব্যাঙ্কগুলি জমা পড়া তহবিলের কিছু অংশ ইতিমধ্যেই সরকারি বন্ডে লগ্নি করেছে, যার জেরে বেড়েছে বন্ডের চাহিদা ও তার দাম। ফলে নিশ্চিত আয়ের ওই ধরনের ১০ বছর মেয়াদি বন্ডে কমছে সুদ। এই হার ৫০ বেসিস পয়েন্টেরও বেশি কমেছে। নেমেছে গত সাড়ে সাত বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে নীচে। ফলে বন্ডের চাহিদায় রাশ টানাও আরবিআইয়ের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য বলে সংশ্লিষ্ট বাজার সূত্রের খবর।
ব্যাঙ্কগুলি যাতে তাদের হাতে আসা বাতিল নোট সরাসরি আরবিআইয়ের দফতরে জমা দিয়ে নগদ জমার অনুপাত অনুসারে নিজেদের অংশ হাতে পেতে পারে, সে ব্যবস্থাও চালু করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ‘গ্যারান্টি স্কিম’ নামে নগদ জমার এই সুযোগ থাকলেও তেমন ভাবে এত দিন চালু ছিল না।