মাল্যের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস চায় ইডি

বিজয় মাল্যকে নিজের থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে না বলে আগেই স্পষ্ট জানিয়েছিল ব্রিটেন। বলেছিল, ভারতে মাল্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলে এবং আইন মোতাবেক সব ব্যবস্থা নেওয়া হলে তবেই তাঁর প্রত্যর্পণ সম্ভব।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৬ ০৩:১৮
Share:

বিজয় মাল্যকে নিজের থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে না বলে আগেই স্পষ্ট জানিয়েছিল ব্রিটেন। বলেছিল, ভারতে মাল্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলে এবং আইন মোতাবেক সব ব্যবস্থা নেওয়া হলে তবেই তাঁর প্রত্যর্পণ সম্ভব। আর তার পরেই মাল্যের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারির জন্য ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হওয়ার পথে এগোল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-কে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

Advertisement

এখনই মাল্যকে প্রত্যর্পণ করতে না-পারার কথা বললেও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে, এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিটেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে চার্জশিট দাখিলের পরে মাল্যের প্রত্যর্পণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বুধবারই রাজ্যসভায় জানান অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আর বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে সিবিআই-কে ব্যবস্থা নিতে বলল ইডি।

প্রসঙ্গত, ভারত থেকে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে সিবিআইয়ের হাতেই। আর এই নোটিস জারি হলে, পৃথিবীর যে-কোনও প্রান্ত থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বার করে গ্রেফতার করতে পারে ইন্টারপোল। তাঁকে ফেরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে ইন্টারপোলের হাতে।

Advertisement

মাল্যের সংস্থা কিংগ্‌ফিশার এয়ারলাইন্সকে দেওয়া আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ৯০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ কোথায় গিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। এই মামলায় ইতিমধ্যেই কালো টাকা লেনদেন প্রতিরোধ আইনের আওতায় ভারতে মাল্যের ৯ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথে এগোনোর কথা জানিয়েছে তারা।

সে ক্ষেত্রে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মাল্যের বিভিন্ন সম্পত্তির বাজার দর খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যার অঙ্ক কিংগ্‌ফিশারের বাকি থাকা ঋণের সমান। পাশাপাশি, মাল্যকে দেশে ফেরাতে পরবর্তী পদক্ষেপ করার জন্য ইডি-র পরামর্শের অপেক্ষায় থাকার কথা জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

ধার শোধ না-করা নিয়ে দেশ জুড়ে তোলপাড়ের মধ্যেই মাল্য পাশে পেয়েছেন সিআইআই-কে। বৃহস্পতিবার বণিকসভার প্রেসিডেন্ট নৌশাদ ফোর্বস বলেন, কোনও ব্যক্তি বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন মানেই তিনি ইচ্ছা করে ঋণ বাকি রেখেছেন, তা নয়। ভুল ব্যবসায় টাকা ঢালা-সহ নানা কারণে ঋণ বাকি পড়তে পারে। তার সঙ্গে জীবনযাত্রার সম্পর্ক নেই। তবে তাঁর দাবি, ঋণ বাকি রাখার সঙ্গে আইন ভাঙার সম্পর্ক আছে কি না, তা দেখতে হবে। যে-কারণে অনিচ্ছাকৃত ভাবে ঋণ বাকি রাখার সঙ্গে স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপির তফাত করা জরুরি। তাঁর মতে, প্রথম জনের সহানুভূতি প্রাপ্য হলেও, দ্বিতীয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা
নেওয়া উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন