রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আইনের শাসন। সিন্ডিকেট, তোলাবাজির সমস্যায় রাশ টেনে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার। লগ্নি টানতে রাজ্যে এই জোড়া দাওয়াই জরুরি বলে জানাচ্ছে এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কলকাতায় চিনের কনস্যুলেট জেনারেলের যৌথ সমীক্ষা। সেখানে অভিযোগ, রাজ্য ওই সব সমস্যায় রাশ টানতে ব্যর্থ বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে শিল্পের তরফে। রিপোর্টে অবশ্য সমালোচনা করা হয়েছে পূর্বতন বাম সরকারেরও।
সমীক্ষায় সমস্যার কথা বলা হলেও, মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন কনসাল জেনারেল মা ঝানউ। তিনি বলেন, ‘‘শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্য শিল্পের কর্মী হিসেবে কাজ করবে। এমন ভূমিকা ব্যবসার পক্ষে সহায়ক।’’
অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (কলকাতা চ্যাপ্টার) সঙ্গে যৌথ সমীক্ষার ওই রিপোর্টে তোলাবাজি ও সিন্ডিকেটের কথা বিশেষ ভাবে বলা হয়েছে। ঝানউ জানান, রাজ্যে লাল ফিতের ফাঁসে প্রায় পাঁচ বছর আটকে ছিল একটি চিনা সংস্থার লগ্নি। শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে কথা বলার পরে জট খোলে। শিল্পমহলও বারবার এই সমস্যার কথা বলেছে।
রাজ্যে তোলাবাজি, সিন্ডিকেটের রমরমা বন্ধ করতে অবশ্য বারবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। সম্প্রতি জেলা স্তরের বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকেও তা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তিনি। ত্রুটি রাখেননি শিল্পকে এ নিয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টাতেও।