নজির গড়েও নামল ডলার, উঠল বাজার

আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ বলেন, টাকায় স্থিতিশীলতা ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পরিস্থিতি সামলানোর পক্ষে ভারতের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারও যথেষ্ট পোক্ত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৪৪
Share:

সোমবার পড়েছিল ১১০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে টাকা আরও নামতেই কাঁপুনি বাড়ল অর্থনীতির। কারণ, এই প্রথম ৭০ টাকার গণ্ডি পেরলো ডলারের দাম। যদিও ৭০.১০ টাকার সর্বকালীন উচ্চতা ছুঁয়েই ফের তা নেমেছে। এবং দিনের শেষে সামান্য স্বস্তি জুগিয়ে ৪ পয়সা বেড়েছে ভারতীয় মুদ্রা। এক ডলার হয়েছে ৬৯.৮৯ টাকা।

Advertisement

লগ্নিকারীদের উদ্বেগ আরও কিছুটা কমিয়েছে শেয়ার বাজার। এ দিন সেনসেক্স বেড়েছে ২০৭.১০ পয়েন্ট। দাঁড়িয়েছে ৩৭,৮৫২ অঙ্কে। নিফ্‌টি ৭৯.৩৫ পয়েন্ট উঠেছে।

তবে সকালে ডলার ৭০ ছুঁতেই প্রমাদ গোনেন লগ্নিকারীরা। ফের আক্রমণ শানাতে শুরু করেন বিরোধীরা। কেন্দ্রের অবশ্য দাবি, দেশের অর্থনীতির সমস্যা নয়, টাকার দাম পড়ার জন্য দায়ী বিশ্ব বাজার। যেখানে তুরস্কের আর্থিক সঙ্কট ও তার জেরে সে দেশের মুদ্রা লিরার পতন থেকে শুরু করে রয়েছে ফের অশোধিত তেলের দাম বাড়া। সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত, এই কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরও এই মুহূর্তে তেমন কিছু করার নেই। তারা এখনও পর্যন্ত ২,৩০০ কোটি ডলার ঢেলেছে বাজারে।

Advertisement

আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ বলেন, টাকায় স্থিতিশীলতা ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পরিস্থিতি সামলানোর পক্ষে ভারতের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারও যথেষ্ট পোক্ত।

যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, এতটা ধাক্কাও লাগত না, যদি বৃদ্ধি আর একটু ভাল হত। কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকত রাজকোষ ঘাটতি। তাঁদের বার্তা, ঠিক এ জন্যই দেশের আর্থিক ভিত পোক্ত রাখতে হয়। যাতে আচমকা ধেয়ে আসা ঝড় সামাল দেওয়া যায় দ্রুত।

প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর বিমল জালানের অবশ্য আশ্বাস, ‘‘ভয়ের কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’’ আর অর্থনীতিবিদ প্রণব সেন বলছেন, ‘‘ডলার ৬৯.৭ বা ৭০ টাকা হওয়া কিছুই ইঙ্গিত করে না। আসল বিপদ মানুষের মাত্রাছাড়া প্রতিক্রিয়া। এখন ডলার ৭০ হওয়া খুব খারাপ নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন