ডলার ও অশোধিত তেলের দাম কমায় পেট্রল-ডিজেল সস্তা হওয়ার কথা।
বৃহস্পতিবারের ছবিটা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল শুক্রবার। আগের দিন সেনসেক্স নেমেছিল ৭৫৯ পয়েন্ট। শুক্রবার সেই সূচকই এক লাফে পাড়ি দিল ৭৩২.৪৩। ১৯ মাসে যা দিনের সর্বোচ্চ উত্থান। নিফ্টিও ২৩৭.৮৫ উঠে থেমেছে ১০,৪৭২.৫০ অঙ্কে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ডলারে টাকার দাম টানা তিন দিন বাড়ায় ভারতীয় মুদ্রায় ভরসা ফিরছে। এ দিন ৫৫ পয়সা পড়ে ডলার দাঁড়িয়েছে ৭৩.৫৭ টাকা। বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দরও ব্যারেলে প্রায় ৩% কমে ৮০.৫০ ডলারে নেমেছে। এই দুইয়ের জেরে ভারতের বিদেশ থেকে তেল কেনার খরচ কমার আশা।
বাজার মহলের মতে, এমন চললে চলতি খাতে ঘাটতি ও বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে না রাখা নিয়ে আশঙ্কা কিছুটা কমবে। ডলার ও অশোধিত তেলের দাম কমায় পেট্রল-ডিজেল সস্তা হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে ভয় কমবে জিনিসপত্রের দাম বাড়া নিয়েও। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে চওড়া হতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর পথ। যা লগ্নি বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য জরুরি, বলছে শিল্প।
কারণ
• বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমা।
• ডলারে টাকার দাম বাড়া।
• পড়তি বাজারে লগ্নিকারীদের শেয়ার কেনার হিড়িক।
• দেশীয় লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ক্রমাগত বিনিয়োগ।
• চলতি অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে দেশের বাজারে যাত্রী গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধি।
• এশিয়া ও ইউরোপের প্রায় সব শেয়ার সূচকেরই ঘুরে দাঁড়ানো।
উত্থানে জ্বালানি জুগিয়েছে পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার হিড়িক। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এক সময় ৩৮ হাজারের মাইলফলক ছাড়ানো উঁচু বাজারের টানা পতনে বহু ভাল সংস্থার শেয়ারের দাম সাধারণ লগ্নিকারীদের নাগালে আসা। প্রভাব পড়েছে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন বাজারের চাঙ্গা থাকাও।
তিন দিন ধরে অনিশ্চিত বাজার পেন্ডুলামের মতোই দুলছে। গত বুধবার সেনসেক্স ৪৬১ পয়েন্ট বেড়েছিল। পরের দিনই পড়ে প্রায় ৭৬০। শুক্রবার তা ফের বাড়ল। ফলে সোমবার সূচকের মুখ কোন দিকে থাকবে, তা নিয়ে চিন্তা থাকছেই। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, উঁচু বাজার সব সময়ই স্পর্শকাতর থাকে। সামান্য আঘাতে হতে পারে সংশোধন। তাই তা আরও পড়বে কি না বুঝতে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।