ঝাঁপ বন্ধ রুখতেই পকেটে অংশীদারি

এ দিকে, এই দিনই প্রায় ১,০০০ জন পাইলট ব্যাঙ্কগুলির থেকে জেট এখনও তহবিল না পাওয়ায় ও তাঁদের বকেয়া বেতনের সমস্যা না মেটায় এপ্রিল থেকে বিমান না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুক্রবার রাতে এ কথা জানিয়েছে পাইলটদের সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩৯
Share:

ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি জেটের সিংহভাগ মালিকানা হাতে নিলেও, নতুন ক্রেতা মে-র মধ্যেই মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার। শুক্রবার কলকাতায় ব্যাঙ্কটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিসিজি অ্যান্ড আইটি) অরিজিৎ বসুও স্পষ্ট জানালেন, সংস্থাটি পরিচালনায় তাঁরা ঢুকবেন না। বরং দ্রুত নতুন লগ্নিকারী খোঁজাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে জেটের বর্তমান পর্ষদই সংস্থা চালালেও, সবটা দেখাশোনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন একটি নজরদারি কমিটি থাকবে।

Advertisement

এ দিকে, এই দিনই প্রায় ১,০০০ জন পাইলট ব্যাঙ্কগুলির থেকে জেট এখনও তহবিল না পাওয়ায় ও তাঁদের বকেয়া বেতনের সমস্যা না মেটায় এপ্রিল থেকে বিমান না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুক্রবার রাতে এ কথা জানিয়েছে পাইলটদের সংগঠন।

এ দিন কলকাতায় এসবিআইয়ের চতুর্থ ‘ওয়েল্থ হাবে’র উদ্বোধনের ফাঁকে জেট প্রসঙ্গে অরিজিৎবাবু বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক এক দিনের জন্যও সংস্থা পরিচালনা করতে চায় না। তাতে দক্ষও নই। আমাদের উদ্দেশ্য, ব্যাঙ্কের ঋণকে সুরক্ষিত রাখা।’’

Advertisement

জেটে ব্যাঙ্কের অংশীদারি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন। অরিজিৎবাবু জানান, সংস্থায় নতুন লগ্নিকারী যাতে সহজে আসতে পারেন, সে জন্যই আরবিআইয়ের নিয়ম মেনে ঋণকে শেয়ারে বদল করা হবে। ব্যাঙ্ক সংস্থায় কোনও লগ্নি করবে না। পরে পুরো শেয়ারের জন্যই দরপত্র চাওয়া হবে। অন্য দিকে, কমিটির কাজ মূলত দু’টি— জেটের শেয়ার মূল্যের উন্নতির চেষ্টা করা ও সংস্থা পরিচালনার খরচ প্রয়োজন মেনেই হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা।

প্রশ্ন উঠেছে, নতুন লগ্নিকারী খুঁজতে কেন এনসিএলটিতে গেল না ঋণদাতা সংস্থাগুলি? অরিজিৎবাবুর মতে, এনসিএলটিতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারত। কিন্তু বিমান সংস্থা একবার সেটি বন্ধ হয়ে গেলে তার পুনরুজ্জীবন যথেষ্ট কঠিন। তাঁদের প্রক্রিয়াটিও কার্যত একই রকম।

বস্তুত, এই প্রক্রিয়ায় দরপত্রে অংশ নিয়ে গয়ালেরও ফের জেটের মালিকানা নেওয়ার সুযোগ থাকবে। সেই সুযোগ তিনি পাননি বলে সম্প্রতি কটাক্ষ করেছিলেন বিজয় মাল্য। এ দিন সে প্রসঙ্গে কারও নাম না করলেও অরিজিৎবাবুর দাবি, দুটি বিষয় এক নয়। এ ক্ষেত্রে গয়াল পদ ছেড়ে সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ঋণদাতাদের হাতে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘অন্য ক্ষেত্রে কী হয়েছে তা আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন। দু’টি ঘটনার মধ্যে তুলনা সম্ভব নয়।’’

ঋণদাতারা নতুন ক্রেতা খোঁজার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও বিশেষজ্ঞরা অবশ্য পুরোপুরি সেই ভরসা দিচ্ছেন না। তাঁদের মতে, নতুন লগ্নিকারীর পথ ততটা কাঁটাহীন না-ও হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন