Soumya Swaminathan

কত ক্ষণ নয়, কতটা ভাল কাজ করা হচ্ছে সেটাই আসল! কাজের সময় বিতর্কে এ বার আসরে হু-এর প্রাক্তন মুখ্য বিজ্ঞানী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথনের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে বেশি সময় টানা কাজ করলে শারীরিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ০৮:২৩
Share:

সৌম্যা স্বামীনাথন। —ফাইল চিত্র।

সাম্প্রতিক কালে শিল্পমহলের একাংশ কর্মীদের সপ্তাহে ৭০-৯০ ঘণ্টা কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। তবে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রাক্তন মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথনের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে বেশি সময় টানা কাজ করলে শারীরিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। কর্মদক্ষতা কমে যায়। বরং তাঁর পরামর্শ, প্রত্যেককে বুঝতে হবে শরীর কতক্ষণ একটানা পরিশ্রম করতে পারছে। শরীরের কথা শুনেই প্রয়োজন মতো বিশ্রাম নিতে হবে। সৌম্যার বার্তা, কত ঘণ্টা কাজ করছেন তার উপর কর্মীর উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে না। আসল শর্ত, তা কতটা ভাল করে করা হচ্ছে, অর্থাৎ তার মান।

ইনফোসিসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যা দেশ জুড়ে অসন্তোষ তৈরি করে। সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজের সওয়াল করেন লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যন। রবিবারেও ছুটি না নেওয়ার পরামর্শ দেন। সম্প্রতি সরকারের উপদেষ্টা নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও অমিতাভ কান্ত মন্তব্য করেন, ২০৪৭-এর মধ্যে ভারতকে ৩০ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি করে তুলতে হলে ভারতীয়দের কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করতে হবে। সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা হোক কিংবা ৯০, খাটতেই হবে।

আইসিএমআর-এর প্রাক্তন এই ডিজি স্বামীনাথনের অবশ্য দাবি, অল্প সময়ের জন্য খুব বেশি পরিশ্রম সম্ভব। যেটা কোভিডের সময় অনেকেই করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে সেটা চালিয়ে যাওয়া মুশকিল। ধারাবাহিক ভাবে ভাল কাজ করার জন্য মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা, বিশ্রাম এবং যথেষ্ট ঘুম অত্যন্ত জরুরি।


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন