প্রতীকী ছবি।
প্রথমে রবিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সেবি। আর সোমবার সকালে খোদ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বাজারের হঠাৎ পতন নিয়ে আশ্বাস মিলেছিল সকলের তরফ থেকেই। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভিজল না। দিনের শেষে দেখা গেল সেনসেক্স পড়েছে ৫৩৬.৫৮ পয়েন্ট। আর নিফ্টি ১৭৫.৭০ অঙ্ক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সেবি বলেছিল, মূলধনী বাজারের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। উপযুক্ত সময়ে ব্যবস্থা নিতে তারা প্রস্তুত। অরুণ জেটলিরও আশ্বাস ছিল, ‘‘ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলি যাতে টাকা মেটাতে অসুবিধায় না পড়ে, সে জন্য প্রয়োজন মতো তাদের ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।’’ কিন্তু সেই আশ্বাস কাজে আসেনি। এ দিন বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ছিল ৩৬,৩০৫.০২ অঙ্কে। নিফ্টি থিতু হয় ১০,৯৬৭.৪০ অঙ্কে। সব মিলিয়ে পাঁচ দিনের লেনদেনে সেনসেক্স হারাল ১,৭৮৫.৬২ পয়েন্ট। আর লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন ৮.৪৮ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দিন সূচক পড়ার মূল কারণগুলি হল—
• এনবিএফসি ও গৃহঋণ সংস্থাগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা।
• বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ৮১ ডলার ছাড়ানো।
• ডলারের সাপেক্ষে ফের টাকার দামে পতন। এ দিন ডলার ৪৩ পয়সা বেড়ে পৌঁছেছে ৭২.৬৩ টাকায়।
• চিন ও আমেরিকার নতুন করে একে অপরের পণ্যে শুল্ক চাপানো।
সূচকের পতন কবে থামবে, তা নিয়ে অন্ধকারে বাজারও। অনেকের মতে, ভারত-সহ সারা বিশ্বের নানা ঘটনার জেরে পড়ছে সূচক। তাঁদের অনেকের মতে, এই পতন আরও কিছু দিন দেখতে হতে পারে লগ্নিকারীদের।