ম্যাট নিয়ে নতুন করে আর না-এগোনোর কথা কেন্দ্র জানালেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ল না বাজারে। তার কারণ জমি এবং জিএসটি বিল আপাতত সংসদীয় কমিটির কাছে যাওয়ায় লগ্নিকারীদের মনে ভিড় করেছে সংস্কারের গতি থমকে যাওয়ার আশঙ্কা। এই দু’য়ের জেরে বৃদ্ধির সড়কে ফিরেও মঙ্গলবার ফের মুখ থুবড়ে পড়ল শেয়ার বাজার। এক ধাক্কায় সেনসেক্স কমল ৬২৯.৮২ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক ফের ২৬ হাজারের ঘরে ফিরে এসে থিতু হল ২৬,৮৭৭.৪৮ অঙ্কে। পড়েছে টাকার দামও। দু’দিন ওঠার পরে এ দিন ডলারের সাপেক্ষে তার পতন হয় ৩২ পয়সা। ডলার দাঁড়ায় ৬৪.১৭ টাকায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সার্বিক ভাবেই বাজারের মানসিকতা খারাপ। টাকার দাম পড়ায় পরিস্থিতি আরও সঙ্গিন। প্রবীণ বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ বলেন, ‘‘যে-দিকে তাকাচ্ছি, সে-দিকেই হতাশার ছবি। ২০১৪-’১৫ সালে বিভিন্ন সংস্থার খারাপ আর্থিক ফলও বাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।’’ তাঁর মতে, ন্যূনতম বিকল্প কর বা ম্যাট নিয়ে কেন্দ্র কমিটি গড়লেও, তার কার্যকারিতা নিয়ে লগ্নিকারীদের মনে সংশয় রয়েছে।
ম্যাট নিয়ে সমস্যার জেরে বিদেশি সংস্থাগুলি এখনও টানা শেয়ার বেচছে। বাজার সূত্রে খবর, চলতি মাসে এ পর্যন্ত ভারতে ৯,০০০ কোটি টাকারও বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে তারা। এই দিনই করেছে ১,৩২৯ কোটি টাকার।
বাজার কবে ঘুরে দাঁড়াবে— সেই প্রশ্নের উত্তর কারও কাছে নেই। তবে কমলবাবুর মতো বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মাস ছয়েকের আগে সেই সম্ভাবনা কম। তাঁর মতে, ‘‘পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রের লগ্নি বৃদ্ধির যে-পরিকল্পনা আছে, তা শুরু হলে বাজারের হাল ফিরতে পারে।’’