খুব সামান্য হলেও অবশেষে বাড়ল শেয়ার বাজার। টানা ছ’দিনে মোট ৯১১.৬৬ পয়েন্ট পড়ার পর মঙ্গলবার সেনসেক্স উঠল ৩১ পয়েন্ট। দাঁড়াল ২৬,৫৯০.৫৯ অঙ্কে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফ্টি-ও ৯.৯০ পয়েন্ট উঠে থিতু হয়েছে ৮০৬০.৭০ অঙ্কে।
বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য বলছেন, সূচক একটু উঠলেও বাজারে অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকছে। কারণ, তাঁদের দাবি, আচমকা সব পতন ঝেড়ে ফেলে মাথা তোলার মতো তেমন কোনও পরিস্থিতি অন্তত এই মুহূর্তে তৈরি হয়নি। তবে পরিকাঠামো শিল্পে সেপ্টেম্বরে ৩.২% উৎপাদন বৃদ্ধির পরিসংখ্যান সোমবার প্রকাশিত হওয়ার পর এ দিন লগ্নিকারীরা শেয়ার কেনায় কিছুটা উৎসাহিত ছিলেন বলে খবর। কারণ, পরিকাঠামোয় বৃদ্ধির ওই হার গত চার মাসে সর্বোচ্চ। পাশাপাশি বাজার মহলের একাংশের মতে, কিছু দিন আগে ভারত সম্পর্কে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা সংস্থা মুডিজ-এর করা পূর্বাভাসও ধীরে ধীরে আশার সঞ্চার করছে। তারা এক রিপোর্টে বলেছিল, বহির্বিশ্বের ঝুঁকি সামলে ২০১৫-’১৬ সালে এ দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার হবে ৭-৭.৫%। যা জি-২০ গোষ্ঠীর দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
যদিও এই সমস্ত খবরে শেয়ার বাজার সাময়িক ভাবে কিছুটা উঠলেও, স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলেই মত বাজার বিশেষজ্ঞ মহলের অধিকাংশেরই। বিশেষ করে যেখানে ভারতের বাজারে বিদেশি লগ্নিকারীদের শেয়ার বিক্রির ঝোঁক জারি রয়েছে। অতীতে যাদের লগ্নিতে ভর করেই এক সময় ৩০ হাজারের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল সেনসেক্স।
সংবাদ সংস্থার খবর, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি সোমবার ভারতে ২৭২.৬৭ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। তার আগে গত শুক্রবার তারা বেচেছিল প্রায় ১,৪৬৫ কোটির শেয়ার।