গত সপ্তাহে নিট হিসাবে ৩৭৮ পয়েন্ট পড়ার পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনেই তেজী হয়ে উঠল শেয়ার বাজার। সোমবার সেনসেক্স এক লাফে এগোলো ৪৬০.৩৬ পয়েন্ট। দাঁড়াল ২৫,৬৮৮.৮৬ অঙ্কে। গত এক মাসে একলপ্তে এতটা বাড়েনি সূচক।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফ্টিও ফের ৭,৮০০ ছাড়িয়েছে। ১৩২.৬০ পয়েন্ট বেড়ে পৌঁছেছে ৭,৮৬৬.০৫ অঙ্কে।
তবে এই উত্থান সত্ত্বেও আগামী দিনে বাজার কেমন থাকবে, সে ব্যাপারে জোর দিয়ে কিছু বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই অবশ্য বলছেন, সূচক এখন দ্রুত না-উঠলেও, তেমন ভাবে পতনের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখের কথায়, ‘‘আমি বাজার নিয়ে বেশ আশাবাদী। খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে যে, এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যার উপর ভর করে শেয়ার সূচকের চাঙ্গা হয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’’
এ দিন চোখে পড়ার মতো বেড়েছে বজাজ অটো, আবাসন ঋণদাতা এইচডিএফসির মতো সংস্থা। ফের কারখানা খোলা ও সিগারেট উৎপাদন শুরু হওয়ায় বেড়েছে আইটিসির দর।
কমলবাবুর মতো বিশেষজ্ঞরা
যে-সব কারণ বাজারের অনুকূলে বলে মনে করছেন, সেগুলি হল—
•এ বছর ভাল বর্ষার পূর্বাভাস। বাজার চাঙ্গা হওয়ার ক্ষেত্রে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বৃষ্টি ভাল হলে দেশের আর্থিক অবস্থার উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সে ক্ষেত্রে অনেকেরই আশা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও ফের সুদ কমানোর পদক্ষেপ করতে পারে। অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরানোর জন্য যা জরুরি।
•গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে কিছু সংস্থার আর্থিক ফল ভাল হওয়া।
• দেউলিয়া বিল সংসদে পাশ হওয়া। এর ফলে ব্যাঙ্কের বকেয়া ঋণ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে আটকে থাকা বেশ কিছু মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছে শেয়ার বাজার মহল।
• ভারতীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ ভাল ধরে নিয়ে শেয়ার বাজারে আবার বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির পুঁজি ফিরে আসা। সোমবারই তারা শেয়ার কিনেছে ২২৪ কোটি টাকার। যে সব ভারতীয় আর্থিক সংস্থা এত দিন শেয়ার বেচছিল, তারাও ঢেলেছে ৩৫০ কোটি।
জৌলুস কম সোনায়। আশা পূরণ হল না। সোমবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ঝিমিয়েই থাকল সোনার বাজার। অন্য বছর এই বিশেষ দিনে বিক্রিবাটা প্রায় ৩৫ শতাংশ বাড়ে। কিন্তু এ বার তা বেড়েছে মাত্র ১৫ শতাংশের মতো।
বস্তুত এ দিন সোনার দাম কমেছে। কলকাতার বাজারে প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট সোনা ৪৭৫ টাকা কমে হয়েছে ৩০,৮০৫ টাকা। ২২ ক্যারাট গয়নার সোনা প্রতি ১০ গ্রামে ৩৫৫ টাকা কমে হয়েছে ২৯,২২৫। বাজার সূত্রের খবর, দরের দ্রুত ওঠা-নামা দেখেই ক্রেতারা সোনা কেনা থেকে কিছুটা হাত গুটিয়ে রেখেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৪ এখন ৩০ হাজার টাকা ছাড়ালেও দামে স্থিতিশীলতা আসেনি। কমেছে রুপোর দামও। এক কিলোগ্রাম রুপোর বাট ৩০০ টাকা কমে হয়েছে ৪১,১০০ টাকা। একই পরিমাণ খুচরো রুপো ৩০০ টাকা কমে হয়েছে ৪১,২০০ টাকা।