ফাইল চিত্র।
আলাদা ভাবে শেয়ার বাজারকে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ নেই। ছাড় দেওয়া হয়নি লেনদেন সংক্রান্ত করে। নেই আয়কর ছাড়ের ঘোষণাও। তবু বাজেটকে মঙ্গলবার স্বাগত জানাল বাজার। সেনসেক্স উঠল ৮৪৮.৪০ পয়েন্ট। থামল ৫৮,৮৬২.৫৭ অঙ্কে। লগ্নিকারীদের খাতায় ঢুকল ৩ লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিও শেয়ার বিক্রিতে রাশ টেনেছে। আগের দিন তারা ৩৬২৪.৪৮ কোটি টাকার লগ্নি তুলেছিল। এ দিন বেচেছে মাত্র ২১.৭৯ কোটি টাকার শেয়ার।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বাজেটে পরিকাঠামো-সহ একাধিক ক্ষেত্রে সরকারি লগ্নির প্রস্তাবই উত্থানে জ্বালানি জুগিয়েছে। আশা, এতে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়বে। কাজ পাবেন বহু মানুষ। আয় বাড়বে অনেকের। ফলে বাড়বে চাহিদা। অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা চওড়া হবে। এর প্রভাব পড়বে শেয়ারের লগ্নিতে।
তবে ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখের প্রশ্ন, সরকার এত টাকা পাবে কোথা থেকে? তিনি বলেন, “রাজকোষ ঘাটতির সমস্যা থাকছেই। বিলগ্নিকরণ থেকে আয়ের লক্ষ্য কমেছে। তা-ও পূরণ হবে কিনা সংশয় আছে। কারণ, বিলগ্নিকরণের জন্য তৈরি ৩৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তালিকা থেকে সারা বছরে এখনও পর্যন্ত দু’টি বিক্রি করতে পেরেছে সরকার। কর আদায়ই ভরসা।’’ মূল্যবৃদ্ধিও বিরাট চ্যালেঞ্জ, মন্তব্য আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তের। তাঁর মতে, “সরকারি খরচের খতিয়ান মূল্যবৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগাবে। তেলের দাম বাড়লে তা আরও চড়বে। অথচ বাজেটে তাতে রাশ টানার দিশা নেই। অর্থনীতি এবং শেয়ার বাজার, দু’ক্ষেত্রই ভুগবে।’’
এসকেপি সিকিউরিটিজ়ের এমডি নরেশ পাচিসিয়া অবশ্য বলছেন, “আশঙ্কা ছিল বাজেট ভোটমুখী হবে। কিন্তু কেন্দ্র নীতি রূপায়ণের পদক্ষেপে অটল থাকায় বাজার খুশি।’’ বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে বিশেষজ্ঞ অজিত দে-রও দাবি, “আমজনতা কর ছাড়ের মতো সুবিধা না-পেয়ে হতাশ। তবে বাজেটে যা করা হয়েছে, সেটা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।’’