শাপুরজিদের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ টাটা সন্সের

নতুন চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনের নেতৃত্বে টাটা সন্সের এই উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীও জানিয়ে দিয়েছে, মিস্ত্রি চেয়ারম্যান থাকার সময়েই টাটাদের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ও নির্মাণ সংক্রান্ত বরাত শূন্যে নেমে আসে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৭ ০৩:১১
Share:

এন চন্দ্রশেখরন ও সাইরাস মিস্ত্রি।

চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া সাইরাস মিস্ত্রির পারিবারিক সংস্থা শাপুরজি-পালোনজির সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ করতে চায় টাটা সন্স। হোল্ডিং সংস্থা হিসেবে ইতিমধ্যেই টাটা সন্সের পরিচালন পর্ষদ গোষ্ঠীর সব সংস্থাকে এই নির্দেশ দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।

Advertisement

নতুন চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনের নেতৃত্বে টাটা সন্সের এই উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীও জানিয়ে দিয়েছে, মিস্ত্রি চেয়ারম্যান থাকার সময়েই টাটাদের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ও নির্মাণ সংক্রান্ত বরাত শূন্যে নেমে আসে। ১৮.৪ শতাংশ অংশীদারি নিয়ে টাটা সন্সের একক বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার শাপুরজিরা বলেছে, ‘‘যদি কোনও বরাত এখনও জোগানো না-হয়ে থাকে, তা হলেও মূল্যায়নের দিক থেকে তা হবে একেবারেই সামান্য।’’ এ নিয়ে অবশ্য সরাসরি কোনও মন্তব্য করেনি টাটা সন্স।

শাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। তারা বলেছে, ২০১৩ সালের নভেম্বরে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান থাকার সময়েই সাইরাস মিস্ত্রি টাটা গোষ্ঠীর সব সংস্থার প্রতি এক নির্দেশে শাপুরজি-পালোনজিকে নতুন কোনও বরাত দিতে বারণ করেছিলেন। তাঁর ওই পদে থাকার সময়ে নতুন কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং ও নির্মাণ সংক্রান্ত বরাত যেন শাপুরজিদের কাছে না-আসে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছিলেন মিস্ত্রিই। ওই বিবৃতির দাবি অনুসারে টাটা গোষ্ঠীর দেওয়া বরাত ২০১২-’১৩ সালের ১১২৫ কোটি টাকা থেকে ২০১৫-’১৬ সালে (মিস্ত্রি চেয়ারম্যান থাকাকালীন) নেমে আসে শূন্যে। যদি কোনও বরাত জোগানো বাকি থেকে থাকে, তা হলে শাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীর কাছে তা নগণ্য।

Advertisement

গত ৬ ফেব্রুয়ারি টাটা সন্স পর্ষদ থেকে সরানো হয় সাইরাস মিস্ত্রিকে। ফলে গত ১০ বছরে এই প্রথম তাদের পর্ষদে শাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীর কোনও প্রতিনিধি রইল না। তার আগে গত ২৪ অক্টোবর টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরতে হয়েছিল মিস্ত্রিকে। তবে বলা হয়েছিল পর্ষদে ডিরেক্টর থাকবেন তিনি। কিন্তু পরে তাঁর কাজকর্মে টাটাদের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে ডিরেক্টর পদ থেকেও সরানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, টাটা গোষ্ঠী এবং মিস্ত্রি পক্ষের মধ্যে এখনও ঝুলে কিছু আইনি বিবাদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন