সোমবার দিনের শুরুতেই শেয়ার বাজারে যে ভাবে ধস নামতে শুরু করেছিল, বেলা বাড়তেই ফের শেয়ার সূচক উর্ধ্বমুখী হয়। এ দিন বাজার খুলতেই সেনসেক্স ১৬৬ পয়েন্ট পড়ে যায়। ৫০ পয়েন্ট নেমে যায় নিফটি। এ দিন বাজার খুলতে ডলারের তুলনায় টাকার দাম ১৫-২০ পয়সা পড়তে পারে, সেটা আগেই অনুমান করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তাঁদের আশঙ্কাকে ছাপিয়ে টাকার দাম পড়ে যায় ৬০ পয়েন্ট। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজনের বিদায় ঘোষণার পরই শেয়ার বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। দিনের শুরুতে শেয়ার সূচক নামতে শুরু করলেই পরে সেটা উর্ধ্বমুখী হয়। সেনসেক্স ২৪১ পয়েন্ট বেড়ে হয় ২৬, ৮৬৭ এবং নিফটি বেড়ে দাঁড়ায় ৮,২৩৯।
কেন এই দোলাচল শেয়ার বাজারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ‘রেক্সিট’ প্রভাব। অর্থাত্ গত সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্ণধার হতে না চাওয়ার যে ঘোষণা করেছিলেন রঘুরাম রাজন, তারই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মার্কেটে। ভারতীয় অর্থনীতিতেও যে এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে সে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা এটাও বলছেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পিছনে একটা মূল ভূমিকা রয়েছে রাজনের। সেপ্টেম্বরে তিনি বিদায় নিলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের থেকেও একটা নেতিবাচক প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে পড়বে।
এই মুহূর্তে আরও একটি আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে বিশ্ব বাজারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে ব্রিটেন। যদি সেটা হয়, তাহলে বিশ্ব বাজারে বিশাল আঘাত নেমে আসতে পারে। এর প্রভাব পড়বে ভারতের শেয়ার বাজারেও।
আরও খবর...