উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগান খুলতে এবং এই শিল্পে অচলাবস্থা কাটাতে চার পদক্ষেপের কথা বললেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সোমবার শিলিগুড়িতে চা বাগান মালিক, শ্রমিক— সব পক্ষের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে দু’টি বৈঠকেই ছিলেন বন্ধ চা বাগান নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর চার দাওয়াই হল:
• কোনও বাগান বন্ধ হলেই সেটি চালু করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। টি বোর্ড এবং রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে কোনও সংস্থাকে ডেকে বাগান চালানোর ব্যবস্থা করতে বলবে। সেই সংস্থাকে একটি চুক্তি মারফত সাময়িক ভাবে বাগান চালানোর ভার দেওয়া হবে। তবে সেই চুক্তিবদ্ধ সংস্থাকে বাগানের পুরনো বকেয়ার ভার নিতে হবে না। পুরনো মালিককে বকেয়া পরিশোধের জন্য সরকার চাপ দেবে।
• চা বাগান শ্রমিকদের জন্য দ্রুত ন্যূনতম মজুরি চালু করতে উদ্যোগী হতে হবে রাজ্য সরকারকে।
• শ্রমিকরা বর্তমানে দৈনিক ১২২ টাকা মজুরি পান। সঙ্গে চাল, গম-সহ মোট ১০৯ টাকা মূল্যের সুবিধা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওই ১০৯ টাকাও মজুরির সঙ্গে নগদে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
• বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা কী পাচ্ছেন এবং বাস্তব পরিস্থিতি কী, তা খতিয়ে দেখতে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিটি জেলায় একটি করে কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটিতে চা পর্ষদ, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। কোনও চালু বাগানও বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকলে ওই কমিটি কেন্দ্রকে জানাবে।
সীতারামন বলেন, ‘‘বন্ধ বাগানের শ্রমিকরা অনুদান চান না, তাঁদের দাবি বাগান খুলুক। সেই মতো পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছি। এই সিদ্ধান্তগুলি রূপায়ণ করার জন্য চা আইনে পরিবর্তন করতে হলে, তার ব্যবস্থাও হবে।’’
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মন্ত্রীর কথা শুনে মনে হয়েছে, যৌথ ভাবে পদক্ষেপ করলে চা বাগানে সুদিন ফিরবে। কলকাতায় ফিরে গিয়ে আজকের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। তারপরে রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানানো হবে।’’