প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতির মাত্রাছাড়া দুর্দশার মধ্যেই কিছুটা স্বস্তি রাজ্যে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান ঋণ কাঠামোর সংশোধন ও ঋণের পরিমাণ বাড়াতে রাজি হল স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটি (এসএলবিসি)। সোমবার ছিল কমিটির বিশেষ বৈঠক। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ছাড়াও ছিলেন পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সিইও-সহ কমিটির আওতাভুক্ত অন্য ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন দফতরের সচিবেরা। সেখানেই ঠিক হয়েছে, আর্থিক সঙ্কট থেকে বাঁচাতে কৃষি, ছোট-মাঝারি শিল্প, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, উদ্যানপালনের মতো দফতরকে বাড়তি সাহায্য করা হবে। সার্বিক ভাবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলির আওতায় নেওয়া ঋণের কাঠামোগত সংস্কার হবে। বাড়বে তা শোধের মেয়াদও। রাজ্যের আশা, এতে উপকৃত হবেন এই সব ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ।
কৃষকদের জন্যও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। যেমন, আরও অনেককে অর্থ জোগাতে খরিফ মরসুমে ধারের পরিমাণ ৪৪০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০,০০০ কোটি টাকা করা, আরও বেশি চাষিকে কিসান ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা, ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের অধীন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদেরও আনা।
নোটবন্দি, তড়িঘড়ি চালু জিএসটি-র পরে এ বার লকডাউনেও সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছোট-মাঝারি শিল্প। তাদের বর্তমান ঋণের সীমা ১০% বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এসএলবিসি-র বৈঠকে ঠিক হয়েছে তা আরও বাড়িয়ে ৩০% করার আর্জি জানানো হবে। চলতি অর্থবর্ষে এই ক্ষেত্রকে নতুন করে ৯০,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে ব্যাঙ্ক। আগের অর্থবর্ষে যা ছিল ৭৪,০০০ কোটি। নিশ্চিত করা হবে ধার পাওয়ার বিষয়টিও।
এই অর্থবর্ষে ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীকেও ১৫,০০০ কোটি টাকা ঋণ দিতে রাজি ব্যাঙ্কার্স কমিটি। ৩১ মে-র মধ্যে ছাড়া হবে আটকে থাকা ৪২৮১ কোটি ঋণ। বকেয়া সব ঋণ ৩০ জুনের মধ্যে দিয়ে দেবে ব্যাঙ্কগুলি। সমবায় ব্যাঙ্কগুলির খরিফ-ঋণ ২৪০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এক লক্ষের বেশি মৎসজীবীকে কিসান ক্রেডিট কার্ডের আওতায় আনা হবে। এই খাতে ৫০০ কোটি ধার দেওয়ার লক্ষ্য বেঁধেছে ব্যাঙ্কগুলি। এসএলবিসি-র অধীনে নতুন কমিটি তৈরি হবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন শিল্পের জন্য।