জুলাইয়ে জিএসটি-র পথে আর এক পা

ধাবা, ছোট হোটেলে কর ৫ শতাংশ

জিএসটি চালুর পরে রাজস্ব ক্ষতি হলে, রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হয়েছে আগের বৈঠকেই। শনিবার কেন্দ্রের বসানো জিএসটি (সিজিএসটি) এবং কেন্দ্র-রাজ্য মিলে বসানো জিএসটি (আইজিএসটি) নিয়েও ঐকমত্য তৈরি হল পরিষদে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৭ ০৩:০৮
Share:

জিএসটি চালুর পরে রাজস্ব ক্ষতি হলে, রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হয়েছে আগের বৈঠকেই। শনিবার কেন্দ্রের বসানো জিএসটি (সিজিএসটি) এবং কেন্দ্র-রাজ্য মিলে বসানো জিএসটি (আইজিএসটি) নিয়েও ঐকমত্য তৈরি হল পরিষদে। আর ঠিক হল, নতুন জমানায় ৫% কর দেবে বছরে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা করা ছোট হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ধাবাগুলি।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ‘‘ছোট রেস্তোরাঁ, ধাবাগুলিকে যাতে কম হারে কর দিতে হয়, সে জন্য সওয়াল করেছিল রাজ্যগুলি। তাতে রাজি হয়েছে কেন্দ্র। তাদের কর দিতে হবে ৫%। যে-টাকা অর্ধেক করে ভাগ হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে।’’

দিনের প্রাপ্তি

Advertisement


সিজিএসটি ও আইজিএসটি নিয়ে ঐকমত্য


বছরে ব্যবসা ২০ লক্ষ টাকার কম হলে, জিএসটি বাধ্যতামূলক নয়


৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা করা রেস্তোরাঁ, ধাবা, হোটেলকে কর দিতে হবে ৫% হারে


সর্বোচ্চ হার (এখন ২৮%) বাড়ানোর সুযোগ খোলা ৪০% পর্যন্ত। যাতে তার জন্য বারবার সংসদের সায় না-লাগে


রবিবার বৈঠক আর হচ্ছে না। পরের আলোচনা ১৬ মার্চ বিকেল পাঁচটায়

সামনে লক্ষ্য


এসজিএসটি এবং ইউটিজিএসটি নিয়ে খসড়া বিলে ঐকমত্য


চার রকম জিএসটিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সায়


৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফায় জিএসটির যাবতীয় বিল পেশ


সিজিএসটি, আইজিএসটি বিল সংসদে এবং এসজিএসটি বিল বিধানসভায় পাশ*


কোন পণ্য, পরিষেবায় কী হারে কর, তা ঠিক করবেন অফিসাররা

• পরিষদের বৈঠকে তাতে সায়

• ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু

* কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নিজস্ব বিধানসভা থাকলে (যেমন দিল্লি), ইউটিজিএসটি পাশ করাতে হবে সেখানে। নইলে সংসদে

শনিবার দিনভর যে-বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা শেষ হয় ২ ঘণ্টায়। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, রবিবার আর বসার দরকার নেই। পরিষদ ফের বৈঠকে বসবে ১৬ মার্চ। তা-ও সারা দিনের জন্য নয়, বিকেলে। সব কিছু দেখে অনেকের ধারণা, ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশে ভোটের ফল বিজেপির পক্ষে কতখানি যায়, কিংবা বিরোধীদের সঙ্গে আগামী কয়েক মাস কেন্দ্রের সম্পর্ক কেমন থাকে, সেই সব রাজনৈতিক সমীকরণের উপরেও তা নির্ভর করবে।

সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, পরের বৈঠকে রাজ্যের বসানো জিএসটি (এসজিএসটি) ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বসানো জিএসটি (ইউটিজিএসটি) নিয়ে একমত হতে সমস্যা হবে না। তাই জুলাই থেকে জিএসটি চালুর আশা করছে কেন্দ্র। যদিও কর্পোরেট মহল, ব্যবসায়ীরা কতটা তৈরি, সে প্রশ্ন থাকছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন