তিন-চার লক্ষ কোটি টাকার লুকনো আয়ের খোঁজ মিলতে পারে ব্যাঙ্কে জমা পড়া ট্রাঙ্ক ট্রাঙ্ক বাতিল নোট থেকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ৮ নভেম্বর ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করার পরে ৯ নভেম্বর থেকে ৫০ দিনে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার উপচে পড়ছে নগদে। তার মধ্যেই ওই ৩-৪ লক্ষ কোটি টাকা করফাঁকি দেওয়া টাকা ধরা পড়তে পারে বলে আয়কর দফতর সূত্রের ইঙ্গিত। সংশ্লিষ্ট এক অফিসারের ইঙ্গিত, ‘‘নোট-কাণ্ডের পরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট জমার অঙ্ক ছাড়াতে পারে ৭.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা। আয়কর দফতরকে ওই জমার খতিয়ান নিতে বলা হয়েছে। তারপর নোটিস পাঠানো হবে ওই ৩-৪ লক্ষ কোটি টাকার মালিকদের।
ওই অফিসারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যে-সমস্ত অ্যাকাউন্টে আয়কর দফতরের কড়া নজর রয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে:
১) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের অ্যাকাউন্টে জমা পড়া ১০,৭০০ কোটি টাকার বেশি নগদ।
২) বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্কে জমা পড়া আরও ১৬ হাজার কোটি টাকা, যার হিসেব-নিকেশ নিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-ও।
৩) লেনদেন বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্টে জমা পড়া ২৫ হাজার কোটি টাকা।
৪) গত ৮ নভেম্বর থেকে নগদে শোধ হওয়া প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নজরে রয়েছে গোয়েন্দাদেরও।
৫) আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির ঘরে আসা ১৩ হাজার কোটি টাকা।
৬) অ্যাকাউন্ট পিছু ২ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা এক লপ্তে জমা পড়েছে, এমন অ্যাকাউন্ট। সেগুলিতে মোট জমার অঙ্ক ৪২ হাজার কোটি টাকা।
৭) জন-ধন অ্যাকাউন্টে জমা টাকার বহর। প্রতি অ্যাকাউন্টে নগদ জমা ১ লক্ষ টাকা ছাড়ালেই নজরদারি।
৮) প্যান ছাড়া ৫০ হাজার টাকার নগদ কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়লেই ব্যবস্থা।