চলতি উৎসবের মরসুমে এ বার কলকাতা সার্কেলে গৃহঋণ-সহ বিভিন্ন খুচরো ঋণের ব্যবসা ১,০০০ কোটির সীমা ছোঁবে বলে আশা স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)-র। সেই কারণেই প্রতিযোগিতার দৌড়ে আরও বেশি করে এগোতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণ নিলে সুদের হার কমানোর কথাও জানিয়েছে তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে নেওয়া ওই সব ঋণে কোনও ‘প্রসেসিং ফি’-ও দিতে হবে না ঋণগ্রহীতাকে।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও সিকিম ও আন্দামান রয়েছে এসবিআই-এর কলকাতা সার্কেলের আওতায়। সম্প্রতি এই সার্কেলের দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথম বার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত জানান, গত বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের উৎসব মরসুমে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার খুচরো ঋণ এই সার্কেলে বণ্টন করেছিল এসবিআই। এ বার সেটাই ১,০০০ কোটিতে নিয়ে যেতে চান তাঁরা। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বড় ভরসা বাড়ি এবং গাড়ি ঋণ।
বস্তুত, উৎসবের মরসুমে ইতিমধ্যেই বিক্রি বাড়ছে বলে দাবি করেছে গাড়ি সংস্থাগুলি। তেমনই এসবিআই-কর্তাদের আশা, ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা দামের মধ্যে সাধ্যের বাড়ি কেনার জন্য ঋণ নেওয়ার চাহিদা বাড়বে। উল্লেখ্য, এ ছাড়া শিক্ষা ও ব্যক্তিগত ঋণও এই খুচরো ব্যবসার মধ্যে পড়ে। তবে ঋণের পরিমাণ বাড়াতে শুধু আগ্রহীদের চাহিদার উপরে ভরসা করছে না এসবিআই। আর সেই কারণেই সুদে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ব্যবসা থেকে আয়ের একাংশ সামাজিক খাতেও ব্যয় করতে চান ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। উৎসবের মরসুমে দেওয়া প্রতিটি ঋণের ব্যবসা থেকে কিছুটা সমাজের দুঃস্থ ও পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আশ্রয়ের জন্য ব্যয় করবেন তাঁরা। তাই সার্বিক ভাবে এই ঋণগুলিকে এখন ‘হোপ লোন’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন তাঁরা। পার্থবাবু জানান, মুনাফার যে-অংশ সামাজিক দায়বদ্ধতা খাতে ব্যয় করার নিয়ম রয়েছে, তার বাইরে অতিরিক্ত এই খরচ তাঁরা হোপ লোন-এর আয় থেকেও করবেন।