Kalyani

খেলনা আমদানি কমাতে কল্যাণীতেও শিল্প তালুক

বণিকসভা ভারত চেম্বার এবং অল টয়েজ়-এর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দু’দিনের খেলনা প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৪৬
Share:

খেলনার কারখানা তৈরী হবে কল্যাণীতে। প্রতীকী চিত্র।

শিশুদের খেলনা তৈরির ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। যার জেরে আমদানি কমেওছে প্রায় ৬০%। সেই বাজার ধরতে ঝাঁপিয়েছে দেশীয় সংস্থাগুলি। সেই সূত্রে লগ্নি টানতে উদ্যোগী পশ্চিমবঙ্গও। মেদিনীপুরের পরে কল্যাণীতে শিল্প তালুক গড়ছে রাজ্যের ছোট শিল্প উন্নয়ন নিগম।

Advertisement

বণিকসভা ভারত চেম্বার এবং অল টয়েজ়-এর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দু’দিনের খেলনা প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এটি খেলনা সংস্থা এবং মূলত পাইকারি ক্রেতাদের জন্য। এ দিন প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে জানান, খড়্গপুরের কাছে নিগমের খাসজঙ্গল শিল্প তালুকে ১২ একরের টয় পার্কে জায়গা পেতে ছ’টি সংস্থার আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। খেলনা তৈরি করতে যে সব সাধারণ যন্ত্র বা পরিকাঠামো প্রয়োজন হয়, সেখানে তেমন একটি ‘কমন ফেসিলিটি সেন্টার’ তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। টয় পার্কটিতে আরও বেশি সংস্থাকে কম খরচে জায়গা নেওয়ার জন্য বার্তা দেন তিনি।

খেলনা সংস্থা এবং ব্যবসায়ীদের একাংশ কলকাতার আশেপাশে খেলনা তৈরির এমন পার্ক বা জায়গার বন্দোবস্ত করার আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজেশ জানান, তাঁরা কল্যাণীতে একটি দু’লক্ষ বর্গ ফুটের চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য নিগমের একটি জায়গাকে চিহ্নিত করেছেন। যে সংস্থার যেমন চাহিদা, তারা সেই মতো জায়গা (যেমন ৫০০ কিংবা ৫০০০ বর্গ ফুট) নিতে পারবে। এক বছরের মধ্যে তৈরি হবে সেটি।

Advertisement

রাজ্য এই শিল্পের পাশে আছে, বার্তা দিয়ে সচিব জানান, বাংলাশ্রী প্রকল্পে শিল্প সংস্থা মূলধনী লগ্নি, বিদ্যুৎ মাসুল বা সুদে ভর্তুকি পেতে পারে। ছাড় মিলতে পারে বিদ্যুৎ বা স্ট্যাম্প ডিউটি খাতেও। ভিন্ রাজ্যের সংস্থাগুলিকেও এ রাজ্যে লগ্নির আহ্বান জানান তিনি। ভারত চেম্বারের প্রেসিডেন্ট এন জি খৈতানের বক্তব্য, দেশে প্রায় ২৫ কোটি শিশুর খেলনার বাজার রয়েছে। এর মধ্যে শুধু পূর্বাঞ্চলে ৭-৮ কোটির। সেই বাজার ধরার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলিতে পা রাখার পথ পশ্চিমবঙ্গই।

এই শিল্পের দুই অগ্রণী সংস্থার কর্তা অক্ষয় বিনজরাজকা এবং অনির্বাণ গুপ্ত জানান, গোটা দেশে সংগঠিত খেলনা শিল্পের বাজার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার। এ রাজ্যের অংশীদারি ৫০০-৭০০ কোটি টাকা। শুল্ক বৃদ্ধি এবং শিশুদের খেলনার গুণগত মান বজায় রাখার জন্য ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর নিয়ম কড়া ভাবে কার্যকর হওয়ায় আমদানি কমেছে। রফতানি বেড়েছে। অক্ষয় জানান, আগে বিশ্বের খেলনা বাজারে ভারতের অংশীদারি মাত্র ০.১% থাকলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩%।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন