GST

GST: জিএসটির হার বৃদ্ধি নয় এখনই, দাবি বৈঠকে

রাজ্যের প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এতে তাদের কাজ করতে অসুবিধা হবে। যে খরচে কাজের বরাত মিলেছিল, জিএসটি দিতে হলে খরচ তার চেয়ে বেড়ে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি, কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২২ ০৬:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

মূল্যবৃদ্ধির গনগনে আঁচের মধ্যে সাধারণ মানুষের উপর নতুন করে করের বোঝা চাপানোর বিপক্ষেই মত দিল পশ্চিমবঙ্গ-সহ অধিকাংশ রাজ্য।

Advertisement

জিএসটিতে করের হার সংশোধন নিয়ে শুক্রবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক বসে। এ রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে অধিকাংশ রাজ্যই জানায়, করের হার বৃদ্ধির পক্ষে এটা উপযুক্ত সময় নয়। ফলে মন্ত্রিগোষ্ঠী তাদের রিপোর্ট পেশ করার জন্য জিএসটি পরিষদের কাছে আরও সময় চাইবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে ফের জিএসটি ক্ষতিপূরণের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানান চন্দ্রিমা।

সূত্রের খবর, গত বছর ২০ নভেম্বর বেঙ্গালুরুতে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে চা-কফি, চিঁড়ে, মুড়ি, খইয়ের উপর কর বসানো ছাড়াও, ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে কাঁচামালের খরচ বাবদ আগে মেটানো কর ফেরতের (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) পদ্ধতিতে বদল আনার পরিকল্পনা হয়েছিল। এ দিনও সেই সব বিষয়ে কথা হয়েছে বলে খবর। আগের বৈঠকের মতো এ বারও রাজ্যের তরফে চন্দ্রিমা দাবি করেছেন, দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে নতুন করে কর বসানো হলে মানুষের উপর বোঝা আরও বাড়বে। ফলে এখনই সেই পথে হাঁটা উচিত হবে না। একই সুরে কথা বলেছে একাধিক রাজ্য। বৈঠকের পরে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধি এখন যথেষ্ট উঁচু। জিনিসের দামও কার্যত আকাশছোঁয়া। ফলে এখন কর বাড়ানো যাবে না। আমরা স্পষ্ট করে এই দাবি তুলেছি। অনেক রাজ্যই আমাদের সমর্থন করেছে।’’

Advertisement

আগে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা (কেএমডিএ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি) জিএসটি ছাড়ের আওতায় থাকলেও ১ জানুয়ারি থেকে সেই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়। রাজ্যের প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এতে তাদের কাজ করতে অসুবিধা হবে। যে খরচে কাজের বরাত মিলেছিল, জিএসটি দিতে হলে খরচ তার চেয়ে বেড়ে যাবে। এ দিনের বৈঠকে নতুন এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হয়।

চন্দ্রিমা এ দিন ফের এক বার জিএসটি ক্ষতিপূরণের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সরব হন। বিষয়টি অবশ্য এ দিনের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল না। সম্প্রতি একই দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি দিয়েছিলেন। শ্রীনগরে ২৮ ও ২৯ জুন জিএসটি পরিষদের বৈঠক হবে। ২৭ জুন বৈঠকে বসবেন আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, এ দফার বৈঠকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ফের সরব হবে বিরোধী রাজ্যগুলি। এ দিন অর্থ মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জিএসটি নিয়ে রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন