এক দিকে বিশ্ব বাজারে ও দেশে তেলের দাম বাড়া। অন্য দিকে ডলারে টাকার দামে পতন। সঙ্গে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বিদেশি লগ্নিকারীদের শেয়ার বিক্রির ধাক্কা। এ সবের জেরে টানা পড়ছে শেয়ার বাজার। সোমবার সেনসেক্স ২৩২.১৭ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪,৬১৬.১৩ অঙ্কে। নিফ্টি ৭৯.৭০ পড়ে ১০,৫১৬.৭০-তে। ডলারে টাকার দামও ফের ১২ পয়সা পড়েছে। এক ডলার হয়েছে ৬৮.১২ টাকা। গত ১৬ মাসে যা সর্বাধিক।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা পতন চলতে পারে আরও কিছু দিন। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখের দাবি, ‘‘বাজারকে চাঙ্গা করার মতো রসদ চোখে পড়ছে না। পরিস্থিতি যা, তাতে সেনসেক্স আরও হাজার দু’য়েক পয়েন্ট খোয়ালে অবাক হব না।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধির ভয় তো আছেই। তার উপর দেশে বাড়ছে পেট্রল, ডিজেলের দর। এতে পণ্যের দাম বাড়লে সুদ বাড়াতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তা হলে পুঁজি জোগাড়ের খরচ বাড়বে শিল্পের। কমবে চাহিদা। ধাক্কা খাবে অর্থনীতি। এ সব নিয়েই চিন্তিত বাজার।