কম তেলেই স্বাদু রান্না হবে, জানতে হবে কৌশল। ছবি: সংগৃহীত।
চিকিৎসকদের কাছে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে কোন তেল খাওয়া ভাল। একবার এক নামী চিকিৎসক বলেছিলেন, যে কোনও তেলই কম খাওয়া ভাল। ওজন কমানো হোক বা পেট ভাল রাখা, বাড়তি তেল-মশলা সব সময়েই এড়িয়ে চলতে বলেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা। কিন্তু মা, ঠাকুরমারা বলেন, তেল-ঝাল দিয়ে কষিয়ে না রাঁধলে কি সেই স্বাদ আসে!
সর্ষের তেলে বেশি মাত্রায় দিলে স্বাদ ভাল হয় ঠিকই, কিন্তু পরে অম্বলের জ্বালায় কষ্টও পেতে হয়। তা ছাড়া ঘরে ঘরে এখন ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখ।অনেকে আবার সুস্থ রাখতে ওজনও ঝরানোর চেষ্টায় খাকেন। কারও আবার তেল-মশলা খাওয়া বারণ থাকে। তাঁরা তবে কী ভাবে খাবেন? জেনে নিন স্বাদ বজায় রেখে কম তেল-মশলার রাঁধার কায়দা।
প্রেশার কুকার: তেলের ব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে দিতে পারে প্রেশার কুকার। আলুর দম রাঁধুন বা এঁচোড়, অল্প তেল দিয়ে পেঁয়াজ-রসুন, কষিয়ে এঁচোড় হালকা ভেজে জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। আলুর দমও তাই। মশলাপাতি যেটুকু দেওয়ার দিন। নুন, মিষ্টি, ঝাল ঠিক থাকলে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করলেই স্বাদু রান্না হবে। বাড়তি তেলের দরকার পড়বে না। অথচ আলু বা এঁচোড় কিংবা কপি সেদ্ধ না করে রান্না করলে কিন্তু তেল লাগবে অনেক বেশি।
ভাপিয়ে নেওয়া: সব্জি ভাপিয়ে নিলেও তেলের পরিমাণ আটকানো যায়। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাবেন? ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো আলু কেটে ৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর মিনিট ৫-৭ ভাপিয়ে আলু থেকে গরম জল ফেলে সেটি ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন। আলুর গায়ে লেগে থাকা জল মুছে অল্প তেলে আঁচ কমিয়ে উল্টে-পাল্টে ভাজলেই মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পাওয়া যাবে। চাউমিন হোক বা অন্য রান্না, সব্জি একটু ভাপিয়ে নিলেই তেলের ব্যবহার কমানো যায়।
এয়ার ফ্রায়ার: তন্দুর হোক বা ভাজাভুজি— এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করলে নামমাত্র তেলেই সুস্বাদু তন্দুর এবং ভাজাভুজি তৈরি করা যায়। এয়ার ফ্রায়ারে তন্দুর বানিয়ে আলাদা করে কড়াইয়ে কাই বানিয়ে মিলিয়ে দিতে পারেন।
কাই তৈরির কায়দা: তেলের ব্যবহার কমাতে চাইলে ব্যবহার করা যায় জল ঝরানো টক দই, নারকেলের দুধ। কাজুবাদাম, তিলবাটা দিলেই খাবারে স্বাদ বাড়ে, তেলের প্রয়োজন তেমন পড়ে না। মাংসে টক দই মাখিয়ে রাখলে একেবারে অল্প তেলেই রান্না করা সম্ভব। কিংবা ভাপা চিকেন বা ভাপা সব্জি বানিয়ে নিতে পারেন। বেক করে খেলেও অল্প তেলে সুস্বাদু রান্না হবে।