অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের আমদানি ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। সোনার উপরে সেই কোপ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ছিল ব্যবসায়ীদের একাংশের। তবে সরকারি সূত্রের খবর, খসড়া তালিকায় দামি পাথর, চিন থেকে আসা কয়েকটি শ্রেণির ইস্পাত এবং দামি বৈদ্যুতিন সামগ্রী থাকলেও সোনার উপরে এখনই হাত পড়ছে না। বরং নীতি আয়োগের পরামর্শ মেনে নতুন করে সোনা জমা প্রকল্প চালু করার কথা ভাবছে মোদী সরকার।
দু’বছর আগে সোনা জমা প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। লকারে থাকা সোনা ব্যাঙ্কে জমা রেখে সুদ মেলে তাতে। এরই মধ্যে দু’মাস আগে সোনা জমার অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি সরল করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এ বার নীতি আয়োগের পরামর্শ মেনে ফের সেই প্রকল্পে কিছু বদল আনা হতে পারে। আয়োগের সুপারিশ, জমা হওয়া সোনাকে ব্যাঙ্কের নগদ জমার অনুপাতের (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও) মধ্যেই ধরা হোক। রাখা হোক জিএসটি-র আওতার বাইরে।
চালু খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের ঘাটতি কমাতে ও টাকার পতন রুখতে আমদানি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রের মতে, সোনা আমদানিতে রাশ টানার বদলে নতুন করে সোনা জমা প্রকল্প চালু করলে, ব্যাঙ্কে জমা পড়া সোনা দিয়েই গয়না শিল্পের চাহিদা মেটানো যাবে। বিদেশ থেকে আমদানি কমবে। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন, সামনেই উৎসবের মরসুম। এখন সোনা আমদানিতে রাশ টানলে গয়না শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে। সোনার চোরাচালানও বাড়বে। মাঝখান থেকে রাজস্ব হারাবে সরকার।
গয়না শিল্পের একাংশ অবশ্য সোনা জমা প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে সন্দিহান। তাদের বক্তব্য, এই প্রকল্পে সুদের হার খুবই কম। বড় জোর ২.৫%। তা ছাড়া বাড়ি বা মন্দিরে জমা থাকা সোনা ব্যাঙ্কে রাখলে, ফেরত নেওয়ার সময়ে সেই গয়না আর মেলে না। ভাঙানোর সময়ে সোনার দাম অনুসারে সোনা বা টাকা পাওয়া যায়।