India-US Tariff War

মুছে গিয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজের বরাত, আমেরিকার চাপানো শুল্কে চাপে তিরুপুর

তামিলনাড়ু এ দেশে বস্ত্র তৈরি ও রফতানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। সেখানকার তিরুপুরকে ভারতীয় বস্ত্র শিল্পের রাজধানী বলা হয়। বিপুল রফতানি হয় কোয়েম্বত্তুর, এরোড এবং কারুর জেলা থেকেও।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:০২
Share:

(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

আমেরিকার ৫০% শুল্ক তামিলনাড়ুর রফতানি ক্ষেত্রকে তীব্র সঙ্কটে ফেলেছে, অভিযোগ তুললেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে দ্রুত আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক কমানোর বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আর্জি জানালেন তিনি।

তামিলনাড়ু এ দেশে বস্ত্র তৈরি ও রফতানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। সেখানকার তিরুপুরকে ভারতীয় বস্ত্র শিল্পের রাজধানী বলা হয়। বিপুল রফতানি হয় কোয়েম্বত্তুর, এরোড এবং কারুর জেলা থেকেও। স্ট্যালিনের দাবি, শুধু তিরুপুর থেকেই মুছে গিয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার নিশ্চিত বরাত। তার সঙ্গে কোয়েম্বত্তুর, এরোড এবং কারুর মিলিয়ে দৈনিক ৬০ কোটি টাকা করে লোকসান গুনছে বাণিজ্য মহল। পুরনো বরাত মুছে যাচ্ছে, শুকিয়ে আসছে নতুনের প্রবাহ। এর জেরে সমস্ত কারখানায় উৎপাদন কমাতে হয়েছে ৩০% পর্যন্ত। বহু ছোট-মাঝারি সংস্থা ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। অসংখ্য মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। তাই অবিলম্বে সব কিছু বাদ দিয়ে শুল্ক কমানোকেই পাখির চোখ করুক নরেন্দ্র মোদীর সরকার। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিক আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে।

স্ট্যালিনের বার্তা, ভারতের থেকে কম শুল্কের সুবিধা নিয়ে বরাত কেড়ে নিচ্ছে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া। রফতানির পথ স্থায়ী ভাবে এ দেশ থেকে সরে গেলে তাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন। উল্লেখ্য, দেশের বস্ত্র রফতানির ২৮% হয় তামিলনাড়ু থেকে। কর্মী প্রায় ৭৫ লক্ষ। চামড়া এবং জুতো রফতানিতেও ওই রাজ্যের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। মোট উৎপাদনে তাদের ভাগ প্রায় ৪০%।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন