বাজার থেকে নিজেদের ১৬ হাজার কোটি টাকার শেয়ার কিনে নিতে পরিচালন পর্ষদের সায় পেল টাটা গোষ্ঠীর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএস। সোমবার তারা জানিয়েছে, সংস্থার ৫.৬১ কোটি পর্যন্ত শেয়ার কিনতে সায় মিলেছে। যা শেয়ার মূলধনের ২.৮৫%। শেয়ার পিছু দাম ২,৮৫০ টাকা। এই ঘোষণা মাত্রই এ দিন শেয়ার বাজারে উঠতে শুরু করে টিসিএস-সহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার দর। মূলত এর জেরেই সেনসেক্স উঠে যায় ১৯৩ পয়েন্ট। দাঁড়ায় ২৮,৬৬১.৫৮ অঙ্কে। যা ৫ মাসে সর্বোচ্চ। টিসিএসের দরও ৪.০৮% উঠে হয় ৫ মাসে সবচেয়ে বেশি, ২,৫০৬.৫০ টাকা।
টিসিএসের উদ্যোগ সফল হলে ভারতীয় মূলধনী বাজারে কোনও সংস্থার শেয়ার পুনঃক্রয়ের অঙ্কে এটাই হবে বৃহত্তম। সংস্থার দাবি, শেয়ারহোল্ডারদের হাতে বাড়তি নগদ তুলে দিতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এ রকম দাবি যে লগ্নিকারীরাও তুলেছে, তা আগেই জানান টিসিএস সিইও এন চন্দ্রশেখরন। কারণ, সংস্থার হাতে নগদ ৪৩,১৬৯ কোটি, যা শেয়ার মূলধনের প্রায় ১০%। অথচ শেয়ারহোল্ডাররা তার অংশ তেমন ভাবে পাচ্ছেন না। তার উপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভূমিপুত্রদের চাকরি পাকা করতে ভারতের কর্মী নিয়ে কম খরচে কাজ করানোর ক্ষেত্রেও কড়া হচ্ছেন। ফলে সে দেশে ব্যবসা খোয়াতে শুরু করেছে টিসিএস-সহ দেশের বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। যা সার্বিক ব্যবসায় থাবা বসানোর আতঙ্ক তৈরি করেছে। এ অবস্থায় টিসিএসের শেয়ার কেনার উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ, মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
একই রকম চাপে পড়ে আগে শেয়ার কেনার কথা ঘোষণা করেছে কগনিজ্যান্ট। এ বার টিসিএসও এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নিজের শেয়ার কেনার পথে হাঁটার চাপ আরও বাড়ল বিপুল নগদের উপর বসে থাকা ইনফোসিসের উপরও।
দায়িত্বে চন্দ্রশেখরন। মঙ্গলবার থেকেই টাটা সন্স চেয়ারম্যানের রাশ হাতে নিচ্ছেন টিসিএস-কর্তা এন চন্দ্রশেখরন। অক্টোবরে যে-পদ থেকে সাইরাস মিস্ত্রিকে সরানো হয়। সোমবার পর্যন্ত সিইও-র দায়িত্বে থাকা চন্দ্রশেখরন কাল থেকে টিসিএস চেয়ারম্যানও হচ্ছেন। সংস্থার সিইও-এমডি পদে আসছেন বর্তমান সিএফও রাজেশ গোপীনাথন। সিএফও-র দায়িত্ব যাচ্ছে ভি রামকৃষ্ণনের হাতে।