দার্জিলিঙের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের নিজেদের দুশ্চিন্তার কথা জানাল চা শিল্পমহল। বৃহস্পতিবার গুডরিক গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ এন সিংহ উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর ফলে সংস্থাগুলির বিপুল লোকসান হচ্ছে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
সিংহ বলেন, দার্জিলিঙে যা ঘটছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এই প্রথম সেকেন্ড ফ্লাশ চায়ের মরসুম শুরুর আগে পাহাড়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হল। ফলে ওই চা প্রায় তৈরিই হয়নি। অর্ধেক পাতা নষ্টের সম্ভাবনা। এর জেরে গুডরিক গোষ্ঠীর ২০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে তাঁর দাবি। সিংহের মতে, অগস্টের শুরুর দিকে চা বাগান খুললেও, ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা। আপাতত আর দার্জিলিঙে বাগান কেনার পরিকল্পনাও গুডরিকের নেই বলে জানান তিনি। বরং তাঁরা জোর দেবেন অসমে। এর সঙ্গেই সারা দেশে চা লাউঞ্জ খুলবে সংস্থা।
এ দিনই আবার উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগানগুলি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্রেগ হল। উত্তরকন্যায় এসেছিলেন তিনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন-মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, সেখানেই চা বাগান প্রসঙ্গ তোলেন হল। বেশ কিছু বাগান বন্ধ রয়েছে কি না, জানতে চান তা। চা শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। মন্ত্রী তাঁকে জানান, চা বাগিচা আইনে শ্রমিক স্বার্থে সুরক্ষাকবচ রয়েছে। তা মানা হচ্ছে কি না, নজর রাখে রাজ্য।