থমকে: পাহাড়ের অশান্তির জেরে ভুগছে চা শিল্প।
পাহাড়ে একটানা আন্দোলনের জেরে এ বছর জুনের গোড়া থেকে এখনও পর্যন্ত দার্জিলিঙের বাগানগুলি বন্ধ। টি বোর্ড জানাচ্ছে, শুধু জুনের হিসেবেই, গত বছরের চেয়ে এ বার সেখানে চা উৎপাদন কমলো প্রায় ৯০%।
টি বোর্ড-এর হিসেব বলছে, ২০১৬ সালের জুন মাসে দার্জিলিঙের বাগানগুলিতে মোট ১৩.৩০ লক্ষ কেজি চা তৈরি হয়েছিল। এ বার প্রাথমিক হিসেবে তা দাঁড়িয়েছে ১.৪০ লক্ষ কেজি। অর্থাৎ উৎপাদন কমে গিয়েছে ৮৯.৪৭%।
পাহাড়ে বন্ধের জেরে গত ৯ জুন থেকে দার্জিলিঙের ৮৭টি বাগান বন্ধ। ‘সেকেন্ড ফ্লাশ’ চায়ের ব্যবসা প্রায় পুরোটাই মার খাওয়ায় প্রাথমিক ভাবে অন্তত ১৫০ কোটি টাকা ক্ষতির কথা জানিয়েছিল চা শিল্পমহল। পরে বন্ধ অনির্দিষ্টকাল ধরে চলায় এ বার পুরো মরসুমেই আর চা তৈরির আশা নেই বলে দাবি তাদের। শুধু তাই নয়, দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের আরও দাবি, চা গাছের যা অবস্থা, তাতে বেশির ভাগ বাগানে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে বছর তিনেক সময় লেগে যেতে পারে।
টি বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুনের হিসেবে, পশ্চিমবঙ্গে গত বছরের চেয়ে এ বার চা উৎপাদন বেড়েছে ৫.৬৩%। তবে সার্বিক ভাবে দেশে তা কমেছে ২.৮১%।