ভারতে টেলি সংযোগ ছাড়াল ১০০ কোটি

ভারতে টেলিফোন সংযোগ সংখ্যা ছাড়াল ১০০ কোটি। সোমবার এ কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, এর মধ্যে শুধুমাত্র মোবাইল সংযোগই ৯৭.৮ কোটি। ১২৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে প্রতি মাসে নতুন সংযোগ তৈরি হচ্ছে ৫০ লক্ষ থেকে ৭০ লক্ষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৫ ০২:২৭
Share:

ভারতে টেলিফোন সংযোগ সংখ্যা ছাড়াল ১০০ কোটি। সোমবার এ কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, এর মধ্যে শুধুমাত্র মোবাইল সংযোগই ৯৭.৮ কোটি। ১২৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে প্রতি মাসে নতুন সংযোগ তৈরি হচ্ছে ৫০ লক্ষ থেকে ৭০ লক্ষ।

Advertisement

এ দিন নয়াদিল্লিতে টেলিকম নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত চারটি নতুন প্রযুক্তির উদ্বোধন করেন প্রসাদ। এর মধ্যে রয়েছে— নেট ব্যবহারের জন্য সৌরবিদ্যুৎ চালিত ওয়াই-ফাই ব্যবস্থা, দূর-দূরান্তে ইন্টারনেট ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে ওয়াই-ফাই সিস্টেম, প্রতি সেকেন্ডে ১০০ গিগাবাইট তথ্য আদানপ্রদানের উপযুক্ত অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল সংযোগ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত এমটিএনএলের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র সি-ডটের তৈরি উন্নত প্রযুক্তির বিশেষ নেটওয়ার্ক।

প্রসাদ বলেন, দেশে বর্তমানে ৩০ কোটির কাছাকাছি ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে সেই সংখ্যা ৫০ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। ২০১২ সালের জাতীয় টেলিকম নীতি অনুসারে চলতি বছরেই দেশের সাধারণ মানুষের কাছে নেট সংযোগ পৌঁছনোর ন্যূনতম পরিকাঠামো তৈরি করতে চান তাঁরা। একই সঙ্গে ২০১৭ সালের মধ্যে ১৭.৫ কোটি এবং ২০২০ সালের মধ্যে ৬০ কোটি মানুষের কাছে ব্রডব্যান্ড পৌঁছনোরও পরিকল্পনা করেছে সরকার। যার ন্যূনতম গতি হবে সেকেন্ডে ২ মেগাবাইট।

Advertisement

সম্প্রতি ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। প্রসাদের দাবি, অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল প্রযুক্তির সাহায্যে কোনও ধরনের যান্ত্রিক সাহায্য ছাড়াই ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত তথ্য পাঠানো যাবে। পাশাপাশি, সৌরবিদ্যুৎ কাজে লাগিয়ে দুর্গম এলাকাতেও নেট পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। এই ধরনের প্রযুক্তি উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো পাহাড়ি জায়গায় নেট পরিষেবার প্রসার ঘটাতে সাহায্য করবে বলে এ দিন দাবি জানিয়েছে সি-ডট।

ভারতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানো এবং দক্ষ মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়েই আগামী দিনে ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন প্রসাদ। সে ক্ষেত্রে সি-ডটের বিভিন্ন পণ্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলেই তাঁর আশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন