Flats

ক্রমশ কমছে চাহিদা, এক ধাক্কায় ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রি কমল ১৩ শতাংশ

করোনায় ধাক্কা খাওয়া আবাসন ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে স্ট্যাম্প ডিউটি ছাড়, সার্কল রেট কমানোর মতো বেশ কিছু সুবিধা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্য। তাতে বিক্রি মাথা তুলেছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

সাধ্যের আবাসনের চাহিদা যে ক্রমশই কমছে তা ফের সামনে এল উপদেষ্টা সংস্থার সমীক্ষায়। যা জানাল, জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশের ৩০টি দ্বিতীয় শ্রেণির শহরে ফ্ল্যাট-বাড়ির বিক্রি ১৩% কমেছে। চাহিদা হ্রাস ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির ফলে নতুন আবাসন কম তৈরি হওয়াই এর কারণ বলে জানিয়েছে প্রপএকুইটি-র সমীক্ষা। তা অনুসারে, ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে এই শহরগুলিতে মোট আবাসন বিক্রি হয়েছিল ৪৭,৯৮৫টি। আর এ বছর হয়েছে ৪১,৮৭১টি। মোট বিক্রির ৭০ শতাংশের বেশি হয়েছে পশ্চিমের শহরগুলি থেকে।

করোনায় ধাক্কা খাওয়া আবাসন ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে স্ট্যাম্প ডিউটি ছাড়, সার্কল রেট কমানোর মতো বেশ কিছু সুবিধা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্য। তাতে বিক্রি মাথা তুলেছিল। কিন্তু ছাড় বন্ধ হওয়া ও ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম বৃদ্ধিই এখন বিক্রিকে টেনে নামাচ্ছে। তার উপরে চড়া মূল্যবৃদ্ধি ও বেশি সুদে বাড়ি কেনার পরিকল্পনা থেকেও সরে আসছেন ক্রেতাদের বড় অংশ। যা মেট্রো তো বটেই, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরে সাধ্যের আবাসনের বিক্রি কমাচ্ছে।

প্রপএকুইটির সিইও সমীর জাসুজা বলছেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরে আবাসনের দাম থাকে সাধ্যের মধ্যেই। ফলে এখানে বিক্রি কমার অর্থ, সামগ্রিক ভাবেই কম দামের ফ্ল্যাট-বাড়ির বিক্রিতে প্রভাব পড়ছে। অথচ দামি ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়ছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই ঘটনা আবাসন ক্ষেত্রের জন্য মোটেই ইতিবাচক নয়।’’

উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্কও বলছে, দেশের প্রথম সারির আট শহরে ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৪-এ ৫০ লক্ষ টাকার নীচে বাড়ি বিক্রি কমেছে প্রায় ৩৪.৫%। তবে ১ কোটির বেশিগুলির বেড়েছে প্রায় ১২৪%।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন