Nirmala Sitharaman

জোরালো কর কমানোর দাবি, বাড়তি ছাড়েরও

এ বার নির্মলার কাছে বিভিন্ন জমা বা লগ্নি প্রকল্পে আয়কর ছাড়ের সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ করল ডিরেক্ট ট্যাক্স প্রফেশনালস অ্যাসোসিয়েশন (ডিটিপিএ)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫০
Share:

বাজেট যত এগিয়ে আসছে, তত জোরালো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে আয়করে আরও সুরাহা দেওয়ার দাবি। করোনাকালে রুজি-রোজগারে ধাক্কা লাগার যুক্তি তুলে ধরে করের হার কমানো এবং ছাড়ের পরিধি চওড়া করার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে। এর আগে স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার অর্থনীতিবিদেরা তাঁকে সাবধান করে বলেছিলেন, অতিমারি মানুষের রুজি-রোজগার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যকে চূড়ান্ত অনিশ্চিত করে তুলেছে। ফলে বাজেটে যেন নতুন কোনও কর না-চাপে।

Advertisement

এ বার নির্মলার কাছে বিভিন্ন জমা বা লগ্নি প্রকল্পে আয়কর ছাড়ের সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ করল ডিরেক্ট ট্যাক্স প্রফেশনালস অ্যাসোসিয়েশন (ডিটিপিএ)। প্রত্যক্ষ কর সংক্রান্ত বিষয়ের আইনজীবীদের ওই সংগঠনেরও দাবি, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২২ সালের যে বাজেট পেশ হবে তাতে সাধারণ মানুষের উপর নেমে আসা বিপর্যয়ের কথা মাথায় রাখুক সরকার। কারণ, প্রথমে অর্থনীতির ঝিমুনি ও তার মধ্যেই আচমকা করোনার হানা এবং তাকে রুখতে লকডাউন অনেকেরই স্বস্তি কেড়েছে। আয়কর আইন সংশোধনের একাধিক প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে তাঁরা স্মারকলিপি পেশ করেছেন বলে জানান ওই সংগঠনের উপস্থাপনা (রিপ্রেজেন্টেশন) কমিটির প্রধান নারায়ণ জৈন। স্মারকলিপিতে ২০টি সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় বিভিন্ন জমা/লগ্নি প্রকল্পের টাকায় আয়কর ছাড় পান লগ্নিকারী। প্রকল্পে জমা টাকা করদাতার মোট আয় থেকে বাদ দিয়ে তার পরে হিসেব হয় আয়কর। ওই খাতে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকার উপরে কর ছাড় মেলে। সেই সীমা বাড়িয়েই ২.৫ লক্ষ টাকা করার সুপারিশ করেছে ডিটিপিএ। জৈনের দাবি, মূল্যবৃদ্ধির দৈত্য জীবনযাপনের খরচ বাড়িয়েছে। ডলারের নিরিখেও টাকার দাম কমছে। এই প্রেক্ষিতে কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়া উচিত।

Advertisement

আয়কর হিসাবের জন্য তার হার এবং আয়ের ধাপগুলি ঢেলে সাজার সুপারিশও করেছে ডিটিপিএ। তাদের প্রস্তাব, সাধারণ করদাতাদের ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কর হোক শূন্য। ৪ লক্ষের বেশি থেকে ৫ লক্ষ পর্যন্ত বার্ষিক করযোগ্য আয়ে ৫%। ৫ লক্ষের বেশি থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে ১০%। ১০ লক্ষের বেশি থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১৫%, ২০ লক্ষের বেশি আয় হলে ২৫%। বর্তমানে বার্ষিক করযোগ্য আয় ১০ লক্ষ টাকার বেশি হলেই পুরনো করের বিধি অনুযায়ী (যে বিধিতে সব ধরনের কর ছাড়ের সুবিধা নেওয়া যায়) করের হার ৩০%। জৈন বলেন, ‘‘দেশে কর সংস্কৃতি তৈরি জরুরি। তার হার ন্যায্য ও স্বচ্ছ রাখার লক্ষ্যেই এই দাবি।’’

পেশাদারদের অনুমানমূলক আয় (প্রিজ়াম্পটিভ ইনকাম, যার ভিত্তিতে কর দেন তাঁরা), তাঁদের পেশা থেকে আয়ের ৩০% ধরার দাবিও জানানো হয়েছে। এখন যা ৫০% ধরা হয়। ডিটিপিএ-র দাবি, এই সব ব্যক্তির আয়ের বড় অংশ অফিস চালানো, কর্মীদের বেতন, টেলিফোনে খরচ হয়। সব খরচই বাড়ায় অনুমানের ভিত্তিতে ধরা আয়ের পরিমাণ কমানো উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন