আগামী ১৩ অক্টোবর দেশ জুড়ে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মালিক পক্ষের সংগঠন ইউনাইটেড পেট্রোলিয়াম ফ্রন্ট (ইউপিএফ)। এর জেরে এ রাজ্যেও প্রায় তিন হাজার পাম্প বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। ফলে গাড়িতে তেল ভরতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে বলেই আশঙ্কা ক্রেতাদের।
যে-সব দাবিতে ইউপিএফ ধর্মঘট ডেকেছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে: কমিশন বৃদ্ধি-সহ পাম্প মালিকদের একগুচ্ছ দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১১ মাস আগে সই হওয়া চুক্তি এখনও রূপায়ণ না-করা, ব্যবসায় শৃঙ্খলারক্ষার নতুন নির্দেশিকার নামে তেল সংস্থাগুলির ‘জুলুমবাজি’, ইত্যাদি। দাবি না-মিটলে ২৭ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইউপিএফ।
ইউপিএফ-এর আওতায় দেশ জুড়ে রয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার পাম্প। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তুষার সেন শনিবার জানান, নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডিলার-কমিশন বৃদ্ধি, তেলের জোগানে ‘কারচুপি’ রোখা, বাড়িতে তেল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ-সহ পাম্প মালিকদের একগুচ্ছ দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও ৩টি তেল সংস্থার চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে চুক্তি হয় গত নভেম্বরে। কিন্তু ১১ মাস কেটে গেলেও এখনও সেগুলি বাস্তবায়িত করার লক্ষণ নেই। তারই প্রতিবাদে এই ধর্মঘট। যৌথ মঞ্চের ওই বৈঠকে রাজ্যের পক্ষে দুই প্রতিনিধি জন মুখোপাধ্যায় ও বাবু চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
তুষারবাবুর আরও অভিযোগ, তেল সংস্থাগুলি ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর ব্যাপারে যে-দাবি করেছে তা ঠিক নয়। বরং শৃঙ্খলারক্ষার নির্দেশিকার জেরে খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের আয় কমেছে। এ নিয়ে তেল সংস্থাগুলির পাল্টা দাবি, শৃঙ্খলারক্ষার যে-নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে, তা গ্রাহক ও পাম্পের কর্মী, সকলের স্বার্থেই করা হয়েছে।