World Bank

ধারের ঝুঁকিই বিপদ বাড়াচ্ছে: বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ

একই ভয় আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার। তাঁর দাবি, বহু দেশ আরও অনেক বেশি কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়েছে ঘাড়ে ঋণের বোঝা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায়। তারা বাজারে পুঁজি নিয়ে পা রাখতেই পারছে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২০ ০২:৪৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

অতিমারির ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি ডুবেছে গভীর মন্দায়। ১৯৩০ সালের মহামন্দার পরে এমন তলিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা তেমন হয়নি তার। বুধবার এই আতঙ্কের বার্তা দিয়েই শুরু হল আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের যৌথ বার্ষিক সম্মেলন। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের হুঁশিয়ারি, বিশেষত উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলির পক্ষে অতিমারি ‘সর্বনাশা ঘটনা’। দেশগুলির ঋণ সঙ্কটে বিপর্যস্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।

Advertisement

একই ভয় আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার। তাঁর দাবি, বহু দেশ আরও অনেক বেশি কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়েছে ঘাড়ে ঋণের বোঝা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায়। তারা বাজারে পুঁজি নিয়ে পা রাখতেই পারছে না। শুধু খরচ কমিয়ে চলেছে। এই সব দেশকে দ্রুত ও জোরালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আর সেই সঙ্গে বলেছেন, ‘‘কোভিড-১৯ থেকে শেখা উচিত, কেন ভাল সময়ে অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলিকে শক্তপোক্ত করে গড়তে হয়। কারণ, সেটা হলে খারাপ সময়েও দেশ প্রাণবন্ত থাকে।’’

মালপাস বলেন, ‘‘এটা গভীর মন্দা...বহু উন্নয়নশীল দেশ ও দরিদ্রতম দেশের মানুষের জন্য সত্যিকারের আর্থিক মন্দা, সর্বনাশা ঘটনা।’’ তাঁর মতে, এই দেশগুলিতে অগুনতি চাকরি গিয়েছে, আয় কমেছে, যাঁরা কাজের জন্য অন্যত্র যান, তাঁদের বাড়িতে টাকা পাঠানো বন্ধ হয়েছে। বিপুল অসংগঠিত কর্মী রোজগার হারিয়ে শুধু সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: আদর্শ টার্ম পলিসি চালু করতে নির্দেশ​

আরও পড়ুন: বাজার পড়ল হাজার পয়েন্ট, মুছল ৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা

সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কই বলেছে, অতিমারির আক্রমণে পূর্ব এশিয়া, চিন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন করে দারিদ্রের গণ্ডিতে ঢুকে পড়তে পারেন প্রায় ৩.৮ কোটি মানুষ। এ দিন মালপাসের দাবি, এই সম্মেলনের লক্ষ্য তাই বিপর্যয় কাটাতে কাজে নেমে পড়া। প্রথম জীবন রক্ষা, পরের ধাপে অর্থনীতির তলিয়ে যাওয়া আটকানো। সমস্যার জায়গা চিহ্নিত করে গরিব দেশগুলিকে বাড়তি সামাজিক সুরক্ষাও দেবেন তাঁরা। আর জর্জিয়েভার বক্তব্য, বাড়তে থাকা অসাম্য, বেকারত্ব ও দারিদ্রই সব থেকে বেশি উদ্বেগের। তাই সেগুলি আটকানোই পাখির চোখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন