সুযোগ খোঁজার সময় এটাই

এই মুহূর্তে কোনও ক্ষেত্র থেকেই এমন কোনও ভাল খবর নেই যা বাজারকে কিছুটা শক্তি জোগাতে পারে।

Advertisement

অমিতাভ গুহ সরকার 

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ০২:১৭
Share:

গত সপ্তাহের শেষ তিনটি কাজের দিনে সেনসেক্স ২,১৪৯ পয়েন্ট খুইয়েছে। নেমে এসেছে ৩৪,৩৭৭ অঙ্কে। চলতি অর্থবর্ষে এত ব়ড় পতনের মুখোমুখি হয়নি মুম্বইয়ের শেয়ার বাজার। নিফ্‌টিও নেমে এসেছে ১০,৩১৬ অঙ্কে। এই মুহূর্তে কোনও ক্ষেত্র থেকেই এমন কোনও ভাল খবর নেই যা বাজারকে কিছুটা শক্তি জোগাতে পারে। তবে রুপোলি রেখা একটাই— এই পরিস্থিতিতেই লগ্নির মাঠে নামতে পারেন সুযোগসন্ধানীরা। কারণ, চলতি সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে যাবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশ। তার উপরে নির্ভর করেই উঁচু জায়গা থেকে নীচে নেমে আসা শেয়ার ধরতে পারেন লগ্নিকারীরা।

Advertisement

এই পতনে অনেকটাই সঙ্কুচিত হয়েছে নথিবদ্ধ সমস্ত শেয়ারের মোট বাজারদর (মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন)। কয়েক দিন আগেই মার্কেট ক্যাপ উঠেছিল ১৫৬ লক্ষ কোটি টাকায়। গত কয়েক দিনের ক্রমাগত পতনে তা নেমে এসেছে ১৩৬ লক্ষ কোটিতে। মার খেয়েছে প্রত্যেকটি ইকুইটি ফান্ডের ন্যাভ।

শেয়ার বাজারের চলতি আতঙ্কের কারণ কিন্তু একাধিক। প্রথম দিকে ঊর্ধ্বমুখী তেল ও ডলারের কারণে সূচকের পতন হলেও, শুক্রবার বাজার পড়েছে মূলত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ অপরিবর্তিত রাখায়। সব মিলিয়ে চলতি খাতে ঘাটতি বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ছে। পাশাপাশি, ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন সরকারি বন্ড ইল্ড বেড়েছে। ফলে তা বিদেশি লগ্নিকারীদেরও উৎসাহিত করেছে ভারত-সহ এশিয়ার বাজারের শেয়ার বিক্রি করে সেখানে পুঁজি ঢালতে। সেই সঙ্গে তেলের উপরে কেন্দ্রের উৎপাদন শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তেও বাজারের কাছে ঠিক ইঙ্গিত যায়নি। লগ্নিকারীদের একাংশের মতে, কেন্দ্র খোলা অর্থনীতি থেকে পিছু হঠছে।

Advertisement

প্রায় একই সময়ে গৃহঋণ-সহ কয়েক ধরনের ঋণে সুদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি ব্যাঙ্ক। ফলে গৃহনির্মাণ ও গাড়ি শিল্পের উপরে আঘাত আসতে পারে।

(মতামত ব্যক্তিগত)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন