একাধিক বিমান বসে গিয়েছে জেটের।—ফাইল চিত্র।
ঋণের ভারে মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান পরিবহণ সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ। বিমানের ভাড়া মেটাতে না পেরে গত কয়েকদিনে একের পর এক বিমান বসিয়ে দিয়েছে তারা। যার জেরে এই মুহূর্তে দেশে মাত্র ৪১টি বিমান চলছে তাদের। মঙ্গলবার দিল্লিতে জেট এয়ারওয়েজের বর্তমান অবস্থান নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী সুরেশ প্রভু। বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-কেও সবিস্তার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। বৈঠকের পর তাদের বিবৃতিতেই এমন তথ্য উঠে এল।
মোট ১১৯টি বিমান রয়েছে বলে জেট এয়ারওয়েজের ওবেসাইটে উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৪১টি এই মুহূর্তে দেশে চলছে বলে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে ডিজিসিএ। তাতে বলা হয়, ‘পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। আগামী দিনে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। জেটের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখছি আমরা। পরিস্থিতি বুঝে এ মাসের শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’
জেটকে দেউলিয়া হওয়ার থেকে উদ্ধার করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে এগিয়ে আসতে আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ডিজিসিএ-র রিপোর্টে তারও উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি, জেটের ২৪ শতাংশের অংশীদার এতিহাদ এয়ারওয়েজ নিজেদের শেয়ার বিক্রির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছে ডিজিসিএ।
আরও পড়ুন: পাশে দাঁড়াক ব্যাঙ্ক, দ্রুত জারি ফরমান, ভোটের মুখে জেট নিয়ে সতর্ক সরকার
আরও পড়ুন: ফের বসল বিমান, সমস্যা সুদ মেটাতেও
এই মুহূর্তে বাজারে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার দেনা জেট এয়ারওেজের। পাওনাদারদের টাকা মেটানো তো দূর, সংস্থার কর্মীদেরই নিয়মিত বেতন দিতে পারছে না তারা। যার জেরে গত কয়েক দিনে একের পর এক বিমান বসে গিয়েছে তাদের। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারেরও। নির্বাচনের আগে জেট কর্তৃপক্ষ নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। সেই সঙ্গে বিপাকে পড়বেন সাধারণ মানুষও। এক ধাক্কায় বিমান যাত্রার খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে। জেটেরই প্রায় ২৩ হাজার কর্মী কর্মহারা হবেন। তাই জেট এয়ারওয়েজকে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
(মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি - অর্থনীতির সব খবর বাংলায় পেয়ে যান আমাদের ব্যবসা বিভাগে।)